প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্ন যে সংস্থাটি (র্যাব) অপরাধ দমনে দায়িত্ব পালন করছে তাদের ওপর কিভাবে স্যাংশন আসে। এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মানুষের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে। আর এই সংস্থাটির ওপর যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে। তিনি বলেন, স্যাংশন কখনো একতরফা হয় না, দরকার হলে আমরাও স্যাংশন দেবো।
বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দফতরে সংস্থাটির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দরবারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিস্তার রোধে র্যাবকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ঈদে কালো টাকা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করায় মানুষের মনে শান্তি এসেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সাহসী ভূমিকা রাখায় র্যাবকে ধন্যবাদ জানান সরকার প্রধান।
২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে র্যাব। ২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর দিনটিকে ‘রেইজিং ডে’ হিসেবে পালন করে আসছে বিশেষ এই এলিট ফোর্স।
বর্তমানে বাহিনীর মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। প্রতিষ্ঠার পর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও স্ব-স্ব এলাকায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জীবনবাজি রেখে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে সংস্থাটি। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি তাদের শক্তি জানান দেওয়ার পরপরই মাঠে নামেন র্যাব গোয়েন্দারা। এরপর গ্রেফতার করা হয় সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানিসহ শত শত জঙ্গিকে।