দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমতি লাগবে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বে ইসিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজারের বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার যদি বেশি প্রয়োজন হয়, সেভাবেই মোতায়েন করা হবে। সেনাবাহিনী কী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের (ইসি) সঙ্গে এখন বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। প্রারম্ভিক একটি আলোচনা হয়েছে। আমরা কিভাবে কাজ করবো, কতজন ফোর্স দিতে পারবো এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সেনাবাহিনী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিন মাঠে থাকবে।
ইসি সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হলেও সেনাবাহিনীর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে সাড়ে ৭ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটের মাঠে কাজ করবে।
তাদের মধ্যে আনসার সদস্য ৫ লাখ ১৬ হাজার জন, পুলিশ ও র্যাবের ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ডের ২ হাজার ৩৫০ জন, বিজিবির সদস্য নিয়োজিত থাকবেন ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।