নির্বাচনী হলফনামায় যাদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের বিষয়ে এখনই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, কমিশন তার ম্যান্ডেট অনুযায়ী কাজ করে। নির্বাচন সামনে রেখে বিশেষ কিছু করার পরিকল্পনা নেই দুদকের। হলফনামায় যাদের অস্বাভাবিক সম্পদের তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তাদের বিষয়ে এখনই কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা নেই।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা ধরে দুদক কাজ করবে কি না? জানতে চাইলে মাহবুব হোসেন বলেন,নির্বাচন আলাদা বিষয়। ভোট নির্বাচন কমিশন করে থাকে। কমিশন আইন অনুযায়ী তার ওপরে যে ম্যান্ডেট দেওয়া থাকে সেই আলোকে কাজ করে। নির্বাচন উদ্দেশ্য করে স্পেসিফিক কিছু করার সুযোগ নেই। ইসি যদি কোনো কিছু জানতে চান, কোনো কিছু বলেন, সে ক্ষেত্রে কমিশনের আইন মোতাবেক যা করার দরকার তা করবে।
এর আগে হলফনামা ধরে কমিশন কাজ করেছে, এবার ইসির কাছে কমিশন কোনো তথ্য চাইবে কি না জানতে বা হলফনানামা ধরে কমিশন কাজ করবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটা মতামত আমরা দিতে পারি। এ বিষয়ে কোনো গাইডলাইন বা নির্দেশনা থাকলে সেটি কমিশনের তরফ থেকে আসতে হবে। হলফনামায় যা দাখিল করা হয়েছে, গণমাধ্যমের মাধ্যমে সবাই জেনেছে, তার মানে এখনই যে সেটিকে ধরবো বা তার পেছনে দৌঁড়াবো বিষয়টা এমন না। কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কমিশন আইন মোতাবেক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এ তথ্যগুলো অবশ্যই কাজে আসবে। প্রয়োজনে তখন বিবেচনায় নেওয়া হবে।
দুদকের নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আইনে বলা দেওয়া আছে কী করণীয়, কী বর্জনীয়। হলফনামা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কাজ করবো বিষয়টি এমন না।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদে মামলা হলেও হলফনামায় যাদের অস্বাভাবিক সম্পদ বেড়েছে তাদের কিছু করা হয় না এটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড হল কি না জানতে চাইলে দুদক সচিব বলেন, এটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড না। কোনো অভিযোগ আসলে কমিশন যা করার দরকার তাই করে। কমিশন আইন মোতাবেক যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেই পদক্ষেপ নেবে।
হলফনামা প্রসঙ্গে স্পষ্ট বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন, সেভাবে এ ধরনের কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। ক্ষমতাসীন বা বিরোধী কাউকেই ছাড় দেওয়া বা চয়েজ করার অবকাশ নেই দুদকের।
আগামী ৯ ডিসেম্বর পালিত হবে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস-২০২৩। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এবারের আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবসের প্রতিপাদ্য-উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ।
দুদক সচিব বলেন, ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি সারাদেশে পালন করছে দুদক। এবার ৯ ডিসেম্বর সকালে কমিশন কার্যালয়ে দিবসটির উদ্বোধন করবেন দুদক চেয়ারম্যান। এর পর শিল্পকলার নাট্যশালা মঞ্চে আলোচনা সভা হবে। যেখানে রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান হবে।