আচরণবিধি ভঙ্গ ও সাংবাদিককে মারধরের বিষয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাব দিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। শুক্রবার(১ ডিসেম্বর) বিকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাব দিতে আসেন এমপি মোস্তাফিজের দুই আইনজীবীসহ ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এমপি মোস্তাফিজের পক্ষে শোকজের লিখিত জবাব দেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর। এ সময় সংসদ সদস্যের আইনজীবী আ ন ম শাহাদাত আলম, বাঁশখালী পৌরসভা মেয়র অ্যাডভোকেট তোফায়েল বিন হোসেন, বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। তারা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত জবাব জমা দেন।
এদিকে সাংবাদিকদের লাঞ্ছনাকারী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে দেয়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএফইউজে (বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন) ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে উভয় সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান। বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ, সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম যৌথ বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচনের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে প্রশ্ন করায় যিনি সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলার মতো ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেন কেউই তার কাছে নিরাপদ নয়। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, বিতর্কিত এই ব্যক্তি আগেও বিভিন্ন সময় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ছাড়াও সাংবাদিকদের হুমকি, মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ সাংবাদিক বিদ্বেষী নানা ঘটনা ঘটিয়েছেন। একজন রাজনীতিবিদের কাছ থেকে আমরা তা কখনো প্রত্যাশা করি না। মোস্তাফিজের মনোনয়ন বাতিলের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের প্রতিও তারা আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তার বিরূদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় আচরণবিধি ভঙ্গ করে মনোনয়নপত্র জমা দেন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। এ সময় আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে প্রশ্ন করায় ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক রাকিব উদ্দিনকে মারধর ও ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন এই সংসদ সদস্য। এ ব্যাপারে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করা হলে সংসদ সদস্যকে তলব করে কমিটি।