পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘আমরা গারো পাহাড়ে হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে একটি অভয়ারণ্য ঘোষণার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই না, হাতি এবং মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলুক। হাতি বা মানুষ মারা গেলে আমরা কষ্ট পাই।’
আজ শনিবার দুপুরে শহরের ডিসি উদ্যানে শেরপুর জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করতে হলে আগে আমাদের বনকে রক্ষা করতে হবে। আমরা বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বিশেষ করে পাহাড়-টিলা কাটা রোধ, গাছ কাটা রোধ, খাল-বিল, নদী ও জলাশয় রক্ষার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’
পরে মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর রেসকোর্স ময়দানে গাছ লাগিয়ে সবুজ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব পরিবেশ দিবসে একজন নাগরিককে অন্তত একটি করে গাছের চারা লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন। আর এটি হলে ১৭ কোটি মানুষের এ দেশে শিশু-কিশোর বাদে অন্তত সাড়ে ৮ কোটি চারা লাগানো সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপপ্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক হোসাইন মোহাম্মদ নিশাদ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান, ৩১ আনসার ব্যাটালিয়নের কমান্ডার মো. আজিম উদ্দিন ও জেলা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি সাদেক আলী।
পরে মেলায় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন পরিবেশমন্ত্রী। সপ্তাহব্যাপী এ বৃক্ষ মেলায় ৪৪টি স্টল স্থান পেয়েছে।
পরে পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন গারো পাহাড়ের কর্ণঝোরায় সামাজিক বনায়নের ১৫৪ জন অংশীদারের মাঝে ২ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বিতরণ করেন। এরপর বন বিভাগের বালিজুরি রেঞ্জের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন এবং গজনী বনাঞ্চল পরিদর্শন করেন তিনি। এ ছাড়া মধুটিলা ইকোপার্ক পরিদর্শনসহ জীবিকা উন্নয়ন তহবিলের চেক বিতরণ করেন।