স্ত্রী মানে শুধু মাত্র আপনার শারীরিক চাহিদা মেটানোর সঙ্গী নয়। স্ত্রী মানে সেই মানুষটা যে নিজের সব কিছু উজাড় করে দিয়ে শুধু মাত্র আপনাকেই ভালোবাসবে। আপনার মানসিক শান্তির কারণ হবে।
স্ত্রী হচ্ছে সেই মানুষটা যে বুড়ো বয়সে এসেও আপনাকে আগলে রাখবে। আপনজনের মতো স্নেহের হাত ধরে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, পাশে থাকবে।
স্ত্রী হচ্ছে সেই মানুষটা যে বুঝবে মাস শেষে আপনার পকেটের অবস্থা। যে নিজের ছোট ছোট আবদার গুলো বিসর্জন দিয়ে একটু একটু করে আপনার সংসারটা গুছিয়ে রাখবে আপনার সামান্য ইনকাম দিয়েই। যে আপনার রক্তের কেউ না হয়েও আপনাকে শেষ পর্যন্ত সামলে নিবে।
স্ত্রী হচ্ছে সে মানুষটা যে হাসি মুখেই বলে দিতে পারবে, “না, না…আমার কিচ্ছু দরকার নেই। অযথা টাকা নষ্ট করো না তো। তার চেয়ে বরং এই টাকাটা জমিয়ে রাখো। পরে কাজে আসবে।”
স্ত্রী হচ্ছে সেই মানুষটা যে আপনার কপালের দু ফোঁটা ঘামের চিহ্ন দেখেই বুঝতে পারবে আপনি দুঃ’শ্চিন্তায় ভুগছেন। সে তখন কপালের ঘাম আঁচল দিয়ে মুছতে মুছতে আপনায় ভরসা দিবে। আপনি ইচ্ছা হলেই তার বুকে মাথা রেখে বাচ্চাদের মতো কেঁদেও নিতে পারবেন।
স্ত্রী হচ্ছে সে মানুষটা যে আপনার ভালো থাকা বা খারাপ থাকার পার্থক্যটা আপনার চোখের দিকে তাকিয়েই বলে দিতে পারবে। সারাদিনে আপনার কখন কী চাই বা কখন কোন জিনিসটার কতটুুকু দরকার। কখন আদা চা লাগবে, আর কখনই বা দুধ চা লাগবে। এটা তার চেয়ে ভালো আর কেউই বলতে পারবে না কখনো।
জানেন তো, জীবনের শেষ বয়স পর্যন্ত আপনার স্ত্রী আপনার সাথে থাকা মানে ফ্রিতে মনের সব কথা বলার জন্য সবচেয়ে ভালো বন্ধু পাওয়া। যে কখনোও আপনার কথার রোগে বিরক্ত হবে না! বরং মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে শুনবে আপনার সেই বকবকানি।
আর এই জন্য স্ত্রীকে অর্ধাঙ্গিনী বলা হয়। কারণ সে আপনার জীবনে প্রত্যেকটা মুহুর্তের সাথে জড়িয়ে থাকে। আপনাকে পরিপূর্ণ করে। আপনাকে প্রতিক্ষণে বাঁচিয়ে রাখার প্রেরণা দেয়।
তাই তাকে আগলে রাখুন। ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় ভরিয়ে তুলুন। যাতে সে মাথা উঁচু করে বলতে পারে আপনার স্ত্রী হয়ে সে ধন্য !
©®