বেবি চক্রবর্ত্তী:- শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইয়ের আবগারি নীতি মামলায় জামিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে এবং মুখে ফেরে আগের হাসি। আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে পরস্পর-পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত এদিন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন ঘোষণা করার সাথে সাথে নেতারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। দলের অন্যান্য নেতাদেরও সিসোদিয়া এবং অতিশির সাথে হাত মেলাতে দেখা যায়। ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আবগারি নীতি সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন তিনি। দিল্লির আবগারি নীতি ২০২১-২২-এ অনিয়মের অভিযোগে আর্থিক তছরুপের তদন্তে ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। আবগারি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ২৬ জুন তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।তাঁর মুক্তির পর আপ শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ‘সত্যমেব জয়তে’।আবগারি নীতি মামলায় সম্প্রতি জামিন পাওয়া প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বলেন, ‘আজ আরও একবার মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সত্যের জয় হল। সত্যের শক্তিতে স্বৈরশাসকের কারাগারের তালা ভেঙে যায়। অতিশী বলেন, ‘সত্যকে ঝামেলা করা যায়, কিন্তু পরাজিত করা যায় না।অন্যদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়ান শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘জেলওয়ালার মুখ্যমন্ত্রী এখন ‘জামিনওয়ালা’র মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কেজরিওয়ালের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, দিল্লির মানুষের কণ্ঠস্বর অনুযায়ী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। কিন্তু তিনি তা করবেন না কারণ তার নৈতিকতার এক ফোঁটাও নেই… তিনি বলতেন, অভিযোগ থাকলেও একজন রাজনীতিবিদের পদত্যাগ করা উচিত। আর এখন জামিনে বাইরে, ৬ মাস জেলে ছিলেন, কিন্তু পদত্যাগ করছেন না… এখন তিনি আসামীর ক্যাটাগরিতে আছেন। তবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল মুক্তি পাচ্ছেন এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আপ নেতা কর্মীদের আনন্দের উল্লাস ছিল বেশ দেখার মত। খুশির আলো ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এই মুক্তির জেরে অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তবে বিজেপি নেতৃত্ব এনিয়ে নানা কটাক্ষ করা শুরু করেন। এখন দেখার বিষয় হল দিল্লির সাধারণ জনগণ এই বিষয়টি কতটা আবেগ থাকে সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।