ডিসেম্বর মাসে তিনি সামরিক বাহিনী থেকে ছাড়া পান। ব্রিটিশ ওয়ার মেডেল ১৯১৪-১৫, সিলভার ওয়ার ব্যাচ এবং ভিকট্রি মেডেল সম্মানে তিনি ভূষিত হন। লন্ডনের চিকিৎসা চলাকালীন তিনি জানতে পারেন তাঁর পায়ের বেশ কিছু মাসেলের ক্ষতি হয়ে গেছে যার ফলে সারা জীবনের মতো তার পা দুটি অসমান হয়ে যায় (একটি পা ওপর পায়ের থেকে ছোট)।
১৯৩১ সাল, হ্যারি লি সেই সময় কাজ করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্ট অ্যান্দ্রুস কলেজ এবং গ্রাহামসটাউনে রোডস বিশ্ববিদ্যালয়। পারসি চ্যাপম্যানের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড দলের সাতজন খেলোয়ার সেই সময় আহত হয়েছেন। তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার জন্য ডাক পান হ্যারি লি। ফেব্রুয়ারি ১৩, ১৯৩১ সালে লি জীবনের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে, তাকে মৃত ঘোষণা করার ১৫ বছর পরে।
গল্প অবশ্য এখানেই শেষ নয়। ইংল্যান্ডের হয়ে খেললেও লি কোনদিনও এমসিসি টুপি বা ব্লেজার পাননি। সাউথ আফ্রিকার যে স্কুলগুলিতে তিনি কাজ করতেন তারই একটি স্কুলের সাথে তিনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় তার নামে নালিশ করা হয় যে তিনি সরকারিভাবে না জানিয়ে কাজ ছেড়ে চলে গেছেন। এই কারণে জ্যাক হবস দেখিয়ে দেন লি ইংল্যান্ড ভ্রমণে এসেছিলেন।