1. ctgnews16@gmail.com : ctgnewsbd : Nurul Absar Ansary
  2. banglahost.net@gmail.com : rahad :
বিতর্কিত কাউন্সিলর হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় - Ctg News BD
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
লন্ডন প্রবাসী অনিম ইকবালকে লন্ডনে অবস্থান করাকালীন সময়ে ভাংচুর মামলার আসামী করায়, মামলার বাদীকে গ্রেফতারের আহ্বান সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ ইছহাক তালুকদারকে গ্রেফতার করা হোক সঙ্গীত গুরুর সুবিনয় রায়ের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী সিটিজি নিউজ এর প্রকাশক ও সস্পাদককে হুমকীর বিষয়ে সিএমপির কোতোয়ালী থানায় ডায়রী চট্টগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসির সংক্ষিপ্ত জীবনী মসজিদে হামলা চালালে, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর “বাসক” এর অভিযোগ “ বহুরুপী একাধিক স্বামী পরিত্যাগকারী কে এই জান্নাতুল ফেরদৌস গুলি বিদ্ধ হয়ে আহত হন অভিনেতা গোবিন্দ মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

বিতর্কিত কাউন্সিলর হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৪৬ বার পঠিত

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর গা ঢাকা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের বিতর্কিত কাউন্সিলর মোহাম্মদ হারুন উর রশিদ। বন্দুকযুদ্ধে আওয়ামী লীগ কর্মী শাহ আলম হত্যাসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত অন্ধকার জগতের মাফিয়া হিসেবে পরিচিত এই কাউন্সিলর। নিজের আরেক ভাই বিএনপি নেতা আয়ুবের কারণে আপাতত জনরোষ থেকে বেঁচে গেলেও আত্নগোপনে থেকে অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাকলিয়া থানাধীন সবকিছুতে একক নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ হারুন উর রশিদ। অভিযোগ আছে, কালামিয়া বাজার এলাকায় গিয়াস উদ্দিন (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী ও এক জামায়াত সমর্থককে খুনের ঘটনায় তিনি জড়িত। যদিও ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাজনৈতিক কারণে একাধিকবার পার পেয়েছেন। এর বাইরে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা ও ভূমি দস্যুতার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের ব্যাপারে গণমাধ্যমগুলো সজাগ হওয়ায় সামনে এসেছে শাহ আলম হত্যাকান্ডের পেছনের রহস্য।

বাকলিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বাকলিয়া এলাকায় বুবলি নামে এক নারীকে ঘরে ঢুকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক শাহ আলম পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে কর্ণফুলী নদীর তীরে সেই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় চট্টগ্রামজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। স্থানীয়দের ভাষ্য, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনেও হাত ছিল হারুন উর রশিদের। কারণ শাহ আলম ছিল তার সকল অপকর্মের প্রধান স্বাক্ষী। তাকে না বাঁচালে নির্দেশদাতা হিসেবে হারুনুর রশিদের নাম গণমাধ্যম ও আইশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল বন্দুকযুদ্ধে নিহত সেই শাহ আলম।
জানা যায়, হারুন উর রশিদ মূলত ২০১৫ সালের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ১৮ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে জেতার পর পূর্ব বাকলিয়ায় বিএনপি জামায়াতসহ বিরোধী দলের সাথে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বৈরীতা তীব্র করে ফেলেন এই কাউন্সিলর। এছাড়া আওয়ামী লীগের বাকি গ্রুপগুলোকেও নিজের সন্ত্রাসী বাহিনীকে দিয়ে বলপ্রয়োগ করে নিজের অনুসারী বানিয়ে নেন এমনটি অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি এবং সাবেক কাউন্সিলর জসিম উদ্দীন, সাবেক কাউন্সিলর ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব ইসহাকসহ প্রভাবশালী নেতাদেরও তিনি চাপে রাখতেন। পরে তারা একসময় রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।

সর্বশেষ ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আরও বেশি ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেন। তার ভয়ে তটস্থ থাকতো ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দারা। যেন অলিখিত এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন তিনি।

বিষয়গুলো নিয়ে তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ফোন করা হয় তার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট তার বাসা ও অফিসে হামলা হয়েছে । হামলার আগে তিনি মেয়র রেজাউল করিমের বাসায় পালিয়ে যান। সেখান থেকে তিনি পরে আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Customized BY WooHostBD