বেবি চক্রবর্ত্তী:- বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। দীর্ঘ অপেক্ষা করার পরও গেলেন না আন্দোলনকারীরা। এই আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের এক ও একমাত্র শর্ত বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং না হলে তাঁরা আলোচনায় বসবেন না। অন্যদিকে, লাইভ স্ট্রিমিংয়ের শর্ত মানতে নারাজ রাজ্য সরকারও। তার যুক্তিও দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাঁর মন্তব্য, বিষয়টি বিচারাধীন, তাই লাইভ স্ট্রিমিং করা সম্ভব নয়।
জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলন – অনশন- কর্মবিরতি ফলে রোগীরা ভোগান্তি স্বীকার। সাধারণ জনতা প্রশ্ন করেন আর জি কর কান্ড নিয়ে তোলপাড় যখন রাজ্য থেকে রাজনীতি একদিকে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে কিন্তু রাজ্যের গ্রামীণ হাসপাতালগুলোতে অর্ধেক দিন ডাক্তার থাকে না, জরুরি বিভাগে মাঝে মধ্যেই দেখা যেত চিকিৎসকদের জুলুম। এখন পেসেন্ট কম এই কথা হাতিয়ার করে নিদির্ষ্ট সময়ের আগেই চিকিৎসাকরা চলে যেতেন। লাঞ্চ টাইম – রেস্ট টাইম চলে এমার্জেন্সি ডাক্তারদের নানা বাহানা। সাধারণ গরিব এবং মধ্যবিত্ত রুগি পরিবার
চিকিৎসা পরিষেবা নিতে গ্রামগঞ্জ থেকে শহরের হাসপাতালে আসতে হয়! রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামীণ হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিৎসক না থাকায় বিপাকে রাজ্যের গ্রামীণ সরকারী হাসপাতাল। জুনিয়র চিকিৎসক এবং রাজ্য সরকারের দু তরফেই সমান গাফিলতির কথা তুলে ধরেন সাধারণ জনতা।