বেবি চক্রবর্ত্তী :- ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে প্রধানমন্ত্রী একটি জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই জনসভা থেকেই ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতায় থাকা হেমন্ত সরেন সরকারকে এক হাত নিয়ে বলেন “ঝাড়খন্ড ধীরে ধীরে অপরাধের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে। মহিলারাও এ রাজ্যে সুরক্ষিত নয়। এমনকি অনুপ্রবেশের কারণে ঝাড়খন্ডের মানুষরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে”। কংগ্রেসের ভূত দলের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। আর যখনই কংগ্রেসের ভূত কোন দলের ভেতরে ঢুকে পড়ে তখন সে দল এজেন্ডা হারায়। জেএমএম সরকার বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গাদের পাশে আছে বলেও দাবি করেন তিনি। শুধু তাই নয় তুষ্টির রাজনীতি নিয়েও হেমন্ত সরেন সরকারকে এক হাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই জনসভায় আরো বলেন ” ঝাড়খন্ড হাইকোর্ট অনুপ্রবেশ ইস্যুতে একটি প্যানেল গঠন করে স্বচ্ছ তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু বর্তমান সরকার অনুপ্রবেশের কথা মানতে নারাজ। সাঁওতাল পরগনা এবং কলহারে বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বড় সমস্যা। আর এর ফলে রাজ্যের জনবিন্যাস ক্রমশ বদলে যাচ্ছে বলেও ঝাড়খণ্ডের জেএমএম সরকারকে তীব্র ভাষা আক্রমণ করেন।
জম্মু-কাশ্মীর সহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল পায়নি বিজেপি। তাই বিজেপির নজরে এখন ঝাড়খন্ড নির্বাচন। কেন্দ্রের শাসকদল এখন যে কোন মূল্যে এই রাজ্যে ক্ষমতা ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
জনসভার পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই রাজ্যের জন্য একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। যার মধ্যে ছটি বন্ধে ভারত এক্সপ্রেস রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে এই সভা ছাড়াও একটি রোড শো করার কথা ছিল কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য তা বাতিল হয়।