বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সরকারের রাজত্ব জনগণই ভেঙে ফেলবে, বিএনপি পাশে থাকবে। তাই এখন থেকে আর প্রতিবাদ নয় প্রতিশোধ নেওয়া হবে।’
মঙ্গলবার (৬ ফ্রেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আয়োজনে নারীদের ওপর নির্যাতন, শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় গয়েশ্বর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের সম্মানহানি ঘটিয়েছে, তাদের ক্ষমতায় রাখলে দেশ নিরাপদ থাকবে না। মিয়ানমার সীমান্ত এবং পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে অস্থিরতা দেখা দিলেও সরকার প্রতিবাদ করতে পারে না। মিয়ানমারের মতো দেশ গুলি করে এটা কিসের আলামত। রাখাইন থেকে সৈন্যরা এ দেশে আসছে কীসের আলামত? গুলি খেয়ে মানুষ মরছে আর প্রতিবাদ করতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে, অচিরেই এর জবাব পাবে। সব অপকর্মের জবাব সরকারকে একবারেই দিতে হবে। সরকারের রাজত্বের প্রাসাদ ভেঙে পড়বে। আর নয় প্রতিবাদ, এখন হবে প্রতিশোধ।’
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘প্রশাসন, বিচার বিভাগের কাছে বিচার চেয়ে লাভ নেই। বিচার করবে দেশের জনগণ। আজ সীমান্তে রক্ত ঝরছে, অথচ প্রতিবাদ করতে পারি না। সমস্ত জনগণ রাস্তায় নেমে না আসলে দেশ রক্ষা করা যাবে না, কলংকমুক্ত হবে না। দেশ রক্ষায় সবার রাজপথে নেমে আসুন।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘সরকার অতীতের মতো আবারও মানুষের সব অধিকার হরণ করে ক্ষমতা দখল করে আছে। আওয়ামী লীগের আমলে কারও নিরাপত্তা নেই, নারীরা নিরাপদ না। যতদিন এ সরকারের পতন না হবে ততদিন দেশ থেকে খুন গুম অপহরণ বন্ধ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে। আওয়ামী লীগের কিছু ব্যবসায়ী ছাড়া কেউ ভালো নেই। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য অর্থনীতি শেষের পর রাজনীতিকে ধ্বংস করা।’
তিনি বলেন, বিএনপি নয় আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হবে, জনগণ তাদের রাস্তায় নামতে দেবে না। অচিরেই নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করা হবে।’
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।