সিটিজি নিউজ ডেস্কঃ- রাবেয়া বশরী বকুলীর ০২ স্বামীর ০৪ ছেলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর ০৭ নম্বর রোডস্থ নতুন ব্রীজ এলাকায় চাঁদাবাজীর বিষয়ে বাঁশখালী থানাধীন ঝালিয়া ঘাটার বাসিন্দা গোলাম রহমানের পুত্র মহি উদ্দিন র্যাব ০৭ এর অধিনায়ক বরাবর বিগত ০৫ নভেম্বর ২৩ খ্রীঃ লিখিত অভিযোগ দায়ের করিয়া, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে অভিযোগের অনুলিপি সিএমপির পুলিশ কমিশনার বরাবর প্রেরণ করেন। উক্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, ১) মোঃ সাদ্দাম ও ২) মকবুল হোসেন রাজু প্রঃ বুইশ্যা, সর্বপিং- শাহ আলম, সর্বমাতা- রাবেয়া বশরী বকুলী, ৩) সাইফুজ্জমান আবীর ও ৪) আলো, সর্বপিং- আবদুচ ছাত্তার, সর্বমাতা- রাবেয়া বশরী বকুলী, সাং- রাজাখালী. থানা- বাকলিয়া, জেলা চট্টগ্রাম গত ০২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রীঃ আনুঃ সময় বিকাল ৪ঃ০০ ঘটিকায়, বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রীজস্থ *অটো টেম্পু*র গাড়ীর স্টেশনে আসিয়া অটো টেম্পুর ড্রাইভার/ অভিযোগকারী মহি উদ্দিনকে অটো টেম্পু চালালে প্রত্যহ ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা হারে চাঁদা দিতে হবে মর্মে জানায়। তাদের দাবী মতে চাঁদা না দিলে তারা নীজেরা কিংবা উপরোক্ত কথিত শ্রমিক নেতা আহমদ হোসেন প্রঃ হোসেন ও মোঃ হারুনের মাধ্যমে মহিউদ্দিনের জান মালের ক্ষতি করার “অপরাধ জনক ভয়ভীতি ও হুমকী” প্রদান করেন।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায় যে, বিআরটিএ-র তথ্য মতে সিএমপির ০৭ নং রোডে ১৬৯ টির মত “অটো টেম্পু”
গাড়ীর রোড পারমিট আছে। উক্ত গাড়ী সমূহ ব্যতিত এই রোডে প্রায় আরো ৩০০ টির অধিক অবৈধ “অটো টেম্পু” গাড়ী
চলাচল করে থাকে। বৈধ এবং অবৈধ প্রতি গাড়ী হইতে উপরোক্ত কথিত শ্রমিক নেতা হোসেন ও হারুন এর নির্দেশে ইদানিং উপরোক্ত মোঃ সাদ্দাম, মকবুল হোসেন রাজু প্রঃ বুইশ্যা, সাইফুজ্জমান আবীর ও আলো ০৭নং রোডে চলাচলরত অটো টেম্পুর ড্রাইভার হতে প্রত্যহ নুন্যতম ১৩০ + ২০ = ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা হারে দিবালোকে প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় চাঁদা আদায় করে থাকে। তৎমতে চাঁদাবাজদের দৈনিক আয় প্রায় ৪৫,০০০/- (পঁয়তাল্লিশ হাজার) টাকার মত। তাছাড়াও চাঁদাবাজদের গডফাদার উপরোক্ত মোঃ হোসেন ও হারুন প্রতিটি রোড পারমিট অটো টেম্পু গাড়ীর মালিক হইতে মাসিক ১,০০০/-(এক হাজার) টাকা এবং আবেদিত গাড়ীর মালিক হইতে মাসিক ১,৫০০/- (এক হাজার পাঁচশত) টাকা করে অঘোষিত চাঁদা আদায় করে থাকে। উপরোক্ত চাঁদাবাজদের কথায় সার্জেন্টগন গাড়ী টু করে বিধায় অটো টেম্পুর মালিকগণ চাঁদাবাজদের কথামত দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে বাধ্য হন মর্মে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন *অটো টেম্পু* গাড়ীর মালিকগন জানায়। উপরোক্ত তথ্য মতে এই চাঁদাবাজদের দৈনিক ও মাসিক আয় অবাক করার মত।
অভিযোগকারী মহিউদ্দিন ইতিপূর্বে উপরোক্ত মোঃ হোসেন এবং মোঃ হারুনসহ তাদের সহযোগী মোঃ সাদ্দাম, মোঃ জমির, মোঃ মনিররের বিরুদ্ধে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২৩ খ্রীঃ একখানা অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের আগে ও পরে উপরোক্ত চাঁদাবাজরা অভিযোগকারী মহিউদ্দিনের নিকট হইতে প্রায় সময় জোর পূর্বক ১৫০/- করে প্রত্যহ চাঁদা আদায় করিত। মহিউদ্দিন উপরোক্ত ঘটনার তারিখ ও সময়ে তার পেশাগত কাজে ঘটনাস্থল নতুন ব্রীজ এলাকায় গেলে উপরোক্ত ১) মোঃ সাদ্দাম, ২) মকবুল হোসেন রাজু প্রঃ বুইশ্যা, ৩) সাইফুজ্জমান আবীর ৪) আলো পরস্পর যোগসাজশে একজোট হয়ে মহিউদ্দিনের নিকট হইতে ০৭নং রাস্তায় অটো টেম্পু গাড়ী চালালে আবারো ১৫০/- টাকা চাঁদা দাবী করে।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, চট্টগ্রামে শীর্ষ ২০ জন মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে এই রাবেয়া বশরী বকুলীর নাম আছে মর্মে জানা যায়। তাছাড়া এই বকুলী মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ভোলার বোন হয়। এরপরেও তারা কাউকে তোয়াক্কা না করে, প্রকাশ্য দিবালোকে ০৭ নং রোডের নতুন ব্রীজ ও বহদ্দার হাট এলাকায় প্রকাশ্য অফিস নিয়ে চাঁদাবাজী করিয়া আসিতেছে।
ইতিপূর্বে তাদের দলীয় রিপন নামক চাঁদাবাজের চাঁদা আদায়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরেও এই চাঁদাবাজ রিপন ধরা ছোঁয়ার বাইরে বিধায় রিপনের উত্তরসুরী উপরোক্ত চাঁদাবাজরা এত বেপরোয়া। সচেতন মহলের মতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী এসব চাঁদাবাজদের দ্রুত গ্রেফতার না করিলে, অটো টেম্পুর মালিক ও ড্রাইভার এবং তৎ সংশ্লিষ্ট অপরাপর শ্রমিকগণ চরম হতাশায় ভুগবে। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিগনের ভাষ্য জানতে চাইলে, তারা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ অস্বীকার করেন। (চলবে)।