মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী প্রদর্শনে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ক্ষোভ প্রকাশ
রিপোর্টারের নাম
-
আপডেট টাইম :
রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
৬৭৬
বার পঠিত
- সিটিজি নিউজ ডেস্ক – শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ তৎসম্পর্কিত আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসন দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্তে মহামান্য হাইকোর্টের তিনটি রায়ের বিষয়ে চরম অবজ্ঞা প্রদর্শনের গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের প্রাচীনতম এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তার নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস গণকবাড়ী, আশুলিয়া, সাভারে ১৯৯৭ খ্রীঃ তৎকালীন প্রেসিডেণ্ট বিচারপতি সাহাব উদ্দীনের উপস্থিতিতে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। তৎপরবর্তীতে ঢাকায় জাঁকজমক পূর্ণভাবে আরো দুটি সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিগত ১১ এপ্রিল ২০১৬ খ্রীঃ দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যাদি পত্র মারফতে উচ্চ আদালতের এ্যাটর্নি জেনারেলের নিকট প্রেরণ করা হয়। উক্ত পত্রের অনুলিপি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ মন্ত্রী পরিষদ সচিব, ইউজিসির চেয়ারম্যান এবং তৎ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। উক্ত পত্রে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস গণকবাড়ী, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকাসহ উক্ত ক্যাম্পাসের অধীনে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের সনদ বৈধ বলে উল্লেখ করা হয়। অনুরুপভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও বিগত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ খ্রীঃ অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সনদের মাধ্যমে নিয়োগ/এমপিও/উচ্চতর স্কেল প্রদানের জন্য মাউশিকে নির্দেশ প্রদান করেন। তৎপরেও “মাউশি” তা বাস্তবায়ন করেননি। মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ খ্রীঃ রায়ের মাধ্যমে নিবন্ধিত দারুল ইহসান ট্রাষ্ট এবং ট্রাষ্টের অধীনে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস গণকবাড়ী, সাভার, ঢাকা বহাল ও বলবৎ থাকায়, আগামী সেমিষ্টার-২০২৪ এ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তিসহ সকল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা প্রক্রিয়াধীন। মহামান্য হাইকোর্টের রায় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইউজিসিকে অত্র প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট অন্তর্ভূক্ত করার নির্দেশনা মূলতঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলমান থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস হইতে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের সনদের গ্রহণযোগ্যতা প্রদান পূর্বক তাদের নিয়োগ/এমপিও/উচ্চতর স্কেল প্রদানের জন্য মহামান্য হাইকোর্ট বিগত ১৩ জুন ২০২৩ খ্রীঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ প্রদান করেন এবং একই ভাবে মহামান্য হাইকোর্ট বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকেও দুই মাস সময় নির্ধারণ পূর্বক বিগত ০৭ জুন ২০২২ খ্রীঃ এলএল.বি.(অনার্স) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে আইনজীবি তালিকাভূক্ত করণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি প্রদানের নির্দেশনা দিলেও, দীর্ঘদিন অতিক্রান্তে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে গড়িমসি করায়, সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীগণ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে, মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট www.diuedubdpc.com বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তালিকাভূক্ত করণের নিমিত্তে এক মাস সময় নির্ধারণ পূর্বক মহামান্য হাইকোর্ট ২১ আগষ্ট ২০২২ খ্রীঃ নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মঞ্জুরী কমিশনকে অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বিগত ১০ এপ্রিল ২০২৩ খ্রীঃ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য পত্র প্রদান করলেও, অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করছেন।
উচ্চ আদালতের উপরোক্ত তিনটি সুষ্পষ্ট আদেশ ও নির্দেশনা থাকা সত্বেও, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এবং ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মহামান্য হাইকোর্টের আদেশকে অবজ্ঞা করতঃ চরম উদাসীনতা ও শৈথিল্য প্রদর্শন করেন। সচেতন মহলের মতে, এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও আস্থাহীনতা বৃদ্ধি পাবে। বৈধভাবে সনদ অর্জন করেও প্রচুর শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকেও দীর্ঘদিন বেতন ভাতাদি থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিষয়টি একদিকে যেমন যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচ্চ আদালতের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন তেমনি অন্যদিকে বৈধ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকারের প্রতি তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের নামান্তর যাহা স্বাধীন দেশের সভ্য সমাজে কোন মতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..