দেশবাসী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘প্রত্যাখ্যান’ করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। এজন্য দলটি জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছে। রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আজকের জালিয়াতির নির্বাচনে যেটি উন্মোচিত হয়েছে তা হলো, বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও উদ্দীপনাকে সম্পূর্ণরূপে অপমান করা। নির্বাচন বলে দাবি করে শাসকদল আত্মশ্লাঘা লাভ করলেও ভোটকেন্দ্রের চরম অনিয়ম ও সহিংসতা ঢাকতে পারেনি তারা। এগুলো আরও স্পষ্ট হয়েছে, যারা সরকারের গোপন আশীর্বাদ পায়নি সেসব প্রার্থীদের জালিয়াতির অভিযোগে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের হিড়িকে। ভোটকেন্দ্রের ছবি ও ভিডিওতে নজিরবিহীন ভোট কেলেঙ্কারির খবর প্রতিমুহূর্তে প্রকাশ পেয়েছে। ঢাকার বাইরেও জনশূন্য কেন্দ্রে ভোটারদের নিয়ে আসতে পারেনি সরকার, নির্বাচন কমিশন ও দলীয় ক্যাডারদের নানা কারসাজি ও হুমকি সত্যেও।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করা সত্যেও দেশের প্রতিটি আসন ও কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ যেভাবে সংঘবদ্ধভাবে কারচুপি ও সংঘাত করেছে, একের পর এক যেসব ছবি, ভিডিও ও তথ্য আমরা গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পেয়েছি, তাতে প্রমাণিত, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনের নামে ‘ছিনিমিনি’ খেলেছে উল্লেখ করে বিএনপি বিবৃতিতে বলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভোটকেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া আর কাউকে দেখেননি। অথচ আরেকজন নির্বাচন কমিশনার বললেন, ৫১ শতাংশ ভোট পড়বে। ভোটগ্রহণ শুরু থেকে কয়েক ঘণ্টা পর নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়, ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। পুলিশ প্রধান বলেছেন, যথেষ্ট ভোটার উপস্থিতির সংবাদ পাচ্ছি। এসব বক্তব্য আগাম প্রস্তুতি বলে মনে হয়, এগুলো নির্বাচন শেষে বেশি ভোট ঘোষণা করার পটভূমি।