চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৩ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বহিষ্কৃত ১০ নং চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী ও ইউপি সচিব ফয়সাল আবেদীনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২১ মার্চ) উপজেলার চাম্বল ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের নন্না মিয়ার ছেলে আবু তাহের বাদী হয়ে বাঁশখালী আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায়, বাদীর অজান্তে বাদীর নাম ব্যবহার করে বাদীর নামে এয়ারটেল কোম্পানির ০১৬১৫-১১০৫৮৯ নম্বরের মোবাইলের সিম সংগ্রহ করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চাম্বল ইউনিয়নের অতি দরিদ্রদের জন্য সরকারের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি ‘কর্মসংস্থান কর্মসূচী’ (ইজিপিপি) বরাদ্দকৃত টাকা বাদীর অগোচরে দস্তখত জাল করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার পশ্চিম চাম্বল ৪নং ওয়ার্ড এলাকায় নন্না মিয়ার পুত্র আবু তাহের বাদী হয়ে বাঁশখালী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- চাম্বল ইউপির বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, ইউপি সচিব ফয়সাল আবেদীন (৩২), চাম্বলের সৌরভ দেব নাথ (৩০)।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রী মহল ধারাবাহিকভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নে ‘বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও নৈরাজ্যবিরোধী সমাবেশের’ ব্যানারে এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে পেটানোর হুমকি দেন। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হলে তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে ২০২২ সালে ইভিএমে ভোট পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন মুজিবুল হক। সে সময় তার বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে চাম্বল ইউপি নির্বাচন স্থগিতও হয়। পরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মুজিবুল হক চৌধুরী।