1. admin@banglawebs.com : banglawebs :
  2. ctgnews16@gmail.com : ctgnewsbd : Nurul Absar Ansary
দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবী - Ctg News BD
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
আইন জানা ছাড়া সংসদে যাওয়া কি উচিত? আর সাংবাদিকতায় শিক্ষার আসল মানদণ্ড কী? চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বিস্ফোরক মামলার আসামীকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবী কে এই পুলিশ কর্মকর্তা মহররম আলী সাংবাদিকগন আসলেই কি অসহায়! মিথ্যা মামলা ও প্রাননাশের হুমকীতে অতিষ্ঠ শিকলবাহার আনোয়ার নাজিম উদ্দীনের ১৭ বৎসরের সাজা পরোয়ানা গায়েব! সচেতন মহলের উদ্বেগ। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান : ইউনিওশেন শিপিংয়ের কর্মকর্তাকে ছাড়াতে তদবির মাহবুব-ইসমাইলের মাদক ও নারীর ভয়ানক সিন্ডিকেট “লোহাগাড়ায় উপজেলা প্রশাসনে এখনো বহাল তবিয়তে আওয়ামী আশীর্বাদপুষ্ট ইউএনও”

দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবী

মোঃ আসহাব উদ্দিন সাকিব,
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ১০৭ বার পঠিত

গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীঃ সিটিজি নিউজের প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি চট্টগ্রাম জেলাধীন কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ৩নং শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা উকিল আহমদ বরাবর “খতিজা বেগম, পিং- মৃত হাজী আমিন মিয়া, স্বামী-হাজী ইউসুফ আলী, মাতা- মৃত শহর জান, সাং- হাজী আমির আলীর বাড়ী, দ্বীপকালামোড়ল, ওয়ার্ড নং-১, শিকলবাহা ৩নং ইউনিয়ন, উপজেলা-কর্ণফুলী, জেলা-চট্টগ্রামের ৫৪৮ এবং ৮৫১ নং মৃত্যু নিবন্ধন, কোন কোন ব্যক্তির আবেদনের মাধ্যমে কয় তারিখে নিবন্ধিত হয় এবং প্রকৃত মৃত্যুর তারিখ উল্লেখে কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন কিনা, কাহারো আবেদন ব্যতিত মৃত্যু নিবন্ধন হয় কিনা তাহার তথ্য প্রদানের” বিষয়ে একখানা আবেদন করেন।

উক্ত আবেদন সূত্রে জানা যায়, জনৈকা খতিজা বেগম বিগত ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০০০ ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করেন, যাহার জানাজার নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় শিকলবাহা এলাকাস্থ বখতেয়ার পাড়ার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ নুরুল আমিন। উপরোক্ত খতিজা বেগমের ছেলে ছালামত আলী ব্যক্তিগত কাজ বিশেষ করে পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাজে ব্যবহারের জন্য চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার তৎকালীন শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হইতে একখানা মৃত্যু সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র গ্রহন করেন, যাতে মৃত্যু নিবন্ধন নং-০০০৮৫১, তাং-১৯/৬/২০২২ ইং উল্লেখ আছে। উক্ত মৃত্যুর প্রত্যয়নপত্রে পারিবারিক তথ্য মোতাবেক ও তাহার জানামতে বিগত ২২-০৮-২০০১ ইং তারিখ উপরোক্ত খতিজা বেগম শারীরিক অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করেন মর্মে চেয়ারম্যান “মৃত্যুর প্রত্যয়ন” পত্রে উল্লেখ করেন।

বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায় যে, উপরোক্ত খতিজা বেগমসহ তাহার অপরাপর ওয়ারিশ হইতে উক্ত এলাকার জনৈক এম হাসমত আলী বিগত ১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯ ইং তারিখ ৫৫৮ নং রেজিস্টার্ড দলিলসহ বিভিন্ন তারিখে কতেক সম্পত্তির রেজিস্ট্রার্ড দলিল গ্রহন পূর্বক (সরকারী কর/খাজনাদি আদায়ের লক্ষে) নামজারী খতিয়ান সৃজনের আবেদন করেন। খতিজা বেগমের ভাই মুজিবর রহমান বেআইনী ভাবে লোভের বশীভূত হইয়া মিথ্যা তথ্যে ৪৩৯০ নং দলিল রেজিস্ট্রিসহ উপরোক্ত খতিজা বেগমের আরেকটি মৃত্যু সনদ ব্যবহার করে খতিয়ান নং – ৭৭৫ ও ১০১৯ সৃজন করতঃ খতিজা বেগমের প্রাপ্ত সম্পত্তির কতেক অংশ নীজের নামে খতিয়ান করায়, উপরোক্ত এম হাসমত আলী মৃত খতিজা বেগমের ওয়ারিশ হইতে গৃহীত খরিদা দলিলাদি ব্যবহার করে নীজের নামে নামজারী খতিয়ান সৃজনে ব্যর্থ হয়। খতিজার উপরোক্ত ছেলে ও ভাই তাদের সুবিধামত সৃজিত একেক সময় একেক মৃত্যু সনদ ব্যবহার করায় দলিল গ্রহীতা এম হাসমত আলীর অপূরণীয় ক্ষতি হয় মর্মে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।

তিনি উক্ত অভিযোগে বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন তারিখ উল্লেখে গৃহীত ভূয়া মৃত্যু সনদের মাধ্যমে মুজিবুর রহমানের সৃজিত খতিয়ানসমুহ বাতিলের আবেদন করেন। মুজিবুর রহমানের ব্যবহৃত খতিজা বেগমের মৃত্যু সনদ পর্যালোচনায় দেখা যায়, মৃত্যুর নিবন্ধন নং-০০০৫৪৮, নিবন্ধনের তাং-১৮/০২/২০১৫, মৃত্যুর তাং- ২৮/১২/১৯৯৬ ইংরেজী।
উপরোক্ত বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার বিষয়ে জনৈক সাংবাদিক উপরোক্ত দপ্তর সমুহে লিখিতভাবে তথ্য প্রদানের আবেদন করেন যে, উপরোক্ত মৃত্যুর নিবন্ধন নং- ৫৪৮ এবং ৮৫১ কোন কোন ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যানগন কর্তৃক নিবন্ধিত হয়? উপরোক্ত খতিজা বেগমের প্রকৃত মৃত্যুর তারিখ কত ও উক্ত তারিখ ব্যবহার করে ইতিপূর্বে মৃত খতিজা বেগমের উপরোক্ত ছেলে কিংবা ভাই ব্যতিত অন্য কোন ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠান মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন কিনা এবং করিলে কয় তারিখে আবেদন করেন। আবেদন ব্যতিত কাহাকেও মৃত্যু সনদ প্রদানের বিধান আছে কিনা? দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে বিগত ১৮ জুলাই ২৫ খ্রীঃ পর্যন্ত কোন তথ্য প্রদান করেননি। সরকার পরিবর্তনের পরেও প্রশাসনের এই অবস্থা।

বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায় যে, ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা উকিল আহমদ ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যায় লাভের আশায় উপরোক্ত তথ্যাদি প্রদানে বিভিন্ন দপ্তরকে নিরুৎসাহিত করিতেছেন এবং নীজেও অপারগতা প্রকাশ করেন। উকিল আহমদের গ্রামের বেশ কয়েকজন লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানায় যে, তিনি বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্নভাবে গ্যারাকলে ফেলে আজ কোটিপতি। তার বেশ কয়েকটি স্থাপনা পর্যবেক্ষণ করিলে, দূর্নীতির বিষয় অনুমান করা যায়, যাহা দুদকের মাধ্যমে তদন্ত প্রয়োজন। তিনি ৮৫১ ও ৫৪৮ নং নিবন্ধন মূলে খতিজা বেগমের দুইটি মৃত্যু সনদ সঠিক নয় উল্লেখ করিয়া কর্ণফুলীর এসিল্যান্ডকে বিগত ২৩ মার্চ ২৫ প্রতিবেদন দাখিল করিলেও, সাংবাদিককে আবেদনের পরেও টাকা ছাড়া কোন ধরনের তথ্য প্রদান করেন নাই। উকিল আহমদের এসিল্যান্ড কার্যালয়ে দাখিলীয় প্রতিবেদনে “পক্ষদ্বয় ভুল তথ্য দিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মৃত্যু সনদ নেওয়ার বিষয় উল্লেখ করিলেও” অজ্ঞাত কারণে পক্ষদ্বয়ের পরিচয় লিখেন নাই।

বহু স্বামীগামী রেহেনা আকতারের প্রতারণায় তার এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ। এলাকাবাসীর দাবী রেহেনাকে গ্রেফতার করা হোক।

উকিল আহমদের এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন লোক জানান যে, উকিল আহমদ মোটা অংকের টাকা ছাড়া কোন কাজ করেননা। অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় বড় দালান কোটা গড়ে তোলে। কিছু নীজে এবং কিছু তার বন্ধুদের সাথে যৌথভাবে করেন।

অত্রসাথে জনস্বার্থে উকিল আহমদের নির্মিত একটি বহুতল ভবনের ছবিসহ তার ছবি প্রকাশ করা হইল। উপরোক্ত বিষয়ে উকিল আহমদের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোন ধরনের মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সচেতন মহল উকিল আহমদসহ সংশ্লিষ্ট দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দুদকসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Customized BY WooHostBD