সিটিজি নিউজ ডেস্কঃ বার্মা কলোনির স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিচিত মুখ ও তরুণ রাজনৈতিক নেতা সবুজ ছয় মাস কারাভোগ শেষে গতকাল কারামুক্ত হয়েছেন। মুক্তির পর এলাকায় ফিরেই তিনি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভালোবাসা–অন্তরিক অভ্যর্থনায় সিক্ত হন। কারামুক্তির পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সবুজ বলেন,“মানুষের আন্তরিকতাই আমাকে শক্তি দেয়। রাজনৈতিক জীবনে নানা সময় মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার মুখোমুখি হয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে ধরনের রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়েছি—তার পুনরাবৃত্তি বিএনপির আমলেও কেন হবে, সেটি আমি বুঝতে পারছি না।”

দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক দলের দায়িত্বে থেকে এলাকাবাসীর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা সবুজকে স্থানীয় কর্মীরা একজন জনবান্ধব নেতা হিসেবে দেখেন। তাঁর ঘনিষ্ঠদের ভাষ্য, সবুজের সঙ্গে কাছাকাছি না হলে তাঁর মানবিকতা, কর্মীদের প্রতি আন্তরিকতা এবং সহমর্মিতা বোঝা যায় না। মুক্তির পর সবুজ বলেন,
“আমি আজীবন বিএনপির একজন নিবেদিত রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। সত্যের পথে থেকে দলের জন্য কাজ করাই আমার লক্ষ্য। সকলের দোয়া চাই, যাতে ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াতে পারি।”

এলাকার কর্মী–সমর্থকদের দাবি, সবুজের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর মুক্তিতে এলাকাজুড়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
সবুজকে বরণ করতে বর্মা কলোনিতে সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও স্থানীয় মানুষ জড়ো হন। ফুলেল শুভেচ্ছা ও স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। অনেকে জানান, সবুজের নেতৃত্বে এলাকায় সংগঠনের কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে বলেই তারা আশা করছেন।

মুক্তির পর তিনি পরিবার, এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন—মোহাম্মদ মাসুদ রানা, ৪৩ নং আমি শিল্পাঞ্চল স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহাম্মদ আজাদ, পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইসলাম আতিক, দপ্তর সম্পাদক, পাঁচলাইশ থানা মোঃ শিমুল, সদস্য, পাঁচলাইশ স্বেচ্ছাসেবক দল আব্দুল হাই, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ প্রকাশনা সম্পাদক নাজিমুদ্দিন হিরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ আলী, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এবং আরও অনেকে।
