চরলক্ষ্যায় জমি নিয়ে বিরোধে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা–চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে মামলা।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলা ও চাঁদাদাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইকবাল খোরশেদ নামের এক ওষুধ ব্যবসায়ী ২৬ শে নভেম্বর ২৫ খ্রীঃ আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন, যার নং —- /২০২৫ ইংরেজী । মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রামের ২য় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তদন্তভার দিয়েছে চট্টগ্রামের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, চরলক্ষ্যা এলাকার ইছমত আলীর পুত্র হাজী কবির আহমদের উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে মামলার বাদী ০২টি ‘অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ নিয়ে সংশ্লিষ্ট জমিতে ঘর নির্মাণের কাজ কাজ শুরু করেন ব্যবসায়ী ইকবাল খোরশেদ। জমিতে উন্নয়নকাজ চলাকালে স্থানীয় সাদ্দাম হোসেনসহ ৩–৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি একাধিকবার তাঁর কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

বাদীর অভিযোগ, চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ২৪ নভেম্বর ২৫ খ্রীঃ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাদী নির্মাণাধীন ঘরের সামনে গেলে আসামিরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। মামলায় বলা হয়েছে, আসামিদের কিল–ঘুষিতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং বাঁচার জন্য চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে আসামিরা মামলার বাদীকে রাজনৈতিক মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
হামলায় আহত ইকবাল স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। থানায় অভিযোগ দিতে গেলে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদীর দাখিল করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৮৫, ৫০৬(২) ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের সাথে বাদী ও আসামীর জাতীয় পরিচয়পত্র, পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ০২টি দলিল, সংশ্লিষ্ট খতিয়ান ও চিকিৎসা–সংক্রান্ত ব্যবস্থাপত্রসহ মোট ২২ ফর্দ্দ কাগজপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

আদালত ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চট্টগ্রামের পিবিআই (মেট্টো)-কে নির্দেশ প্রদান করেন। আসামীর এলাকার কয়েকজন লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আসামি উত্তর চরলক্ষ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক/দপ্তরী। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ চৌধুরীর ইন্ধনে আসামী সাদ্দামসহ তার দলীয় লোকজন এত বেপরোয়া।

বিগত সরকারের আমলে অনুপ চৌধুরী দক্ষিণ জেলার যুবলীগের “সাধারন সম্পাদক” পার্থ সারথীকে খালাতো ভাই দাবী করিয়া, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

প্রধান শিক্ষক তার দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অত্র মামলার আসামী সাদ্দাম হোসেনের মাধ্যমে একটি বাহিনী গঠন করে, তাদের মাধ্যমে প্রতিবাদকারীদের হেনস্তা করার অভিযোগ উঠে, যাহা সরজমিনে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। অপরদিকে অভিযুক্তরা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। (চলবে)।