চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা এলাকাস্থ জালাল সওদাগরের বাড়ীর বাসিন্দা মুন্সি মিয়া ও জরিনা বেগমের ছেলে আনোয়ার হোসেন হইতে একই থানা এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দা যথাক্রমে মোঃ বেলাল, মোঃ রানা, মোঃ আজম, মোঃ কাদের, রেহেনা আকতার, পারভিন আকতার, আসমা খাতুনসহ তাদের দলীয় অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন লোক মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিপ্রায়ে, তার পুরাতন বসতঘরের পাকা দেওয়ালে আস্তর করিতে বাধা প্রদানসহ তার বাড়ীর যাতায়াতের রাস্তা কেটে ফেলার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ২রা মার্চ ২০২৫ খ্রীঃ সিএমপির পুলিশ কমিশনার বরাবর আনোয়ার হোসেন অভিযোগ দায়ের করিয়া, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে অনুলিপি প্রেরণ করেন। ইতিপূর্বে চট্টগ্রামের মাননীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরেও অভিযোগ দায়ের করেন।
![]()
![]()
![]()
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, আনোয়ার হোসেন গত ৩রা অক্টোবর ২০০২ খ্রীঃ ৬১১৪ নং বিক্রয় কবলা দলিল মুলে তার মাতা জরিনা ও বোন বুলবুলি হইতে শিকলবাহা ইউনিয়নের দ্বীপকালামোড়ল মৌজার আর,এস জরিপের ১২২ নং খতিয়ানের ২৩৭/দুইশত সাতত্রিশ, ২৪০, ২৬১, ২৬২, ২৬৩, ২৬৪ দাগাদীর আন্দর বি,এস জরিপের ৯০/৯২ নং খতিয়ানের ৩০১, ৩০৪, ৩২৭, ৩২৮, ৩২৯, ৩৩০ দাগাদির আন্দর মোয়াজী- এক গন্ডা এক কড়া বা আড়াই শতক বসত ভিটি এবং একই মৌজার আর,এস, খতিয়ান নং- ১২২ এর দাগ নং – ২৩৭/ ২৪০/২৬১/ ২৬২/ ২৬৩/২৬৪/২৭২ যার বি.এস. খতিয়ান নং- ৯২ এর দাগ নং- ৩২৭/৩২৮/৩২৯/৩৩৮/৩০১ এর আন্দর আনোয়ারের বোন বুলবুলির প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অংশ গত ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ খ্রীষ্টাব্দে অনাপত্তিমূলক ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে আনোয়ার গ্রহণ পূর্বক ভোগ দখলে স্থিত থাকার এক পর্যায়ে উপরোক্ত আসামীগন আনোয়ারের সম্পত্তির প্রতি ইর্ষনীয় হইয়া, তার মৌরশী ও খরিদা সূত্রে প্রাপ্ত বিভিন্ন দাগাদির সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করিলে, স্থানীয় বেশ কয়েকজন লোকের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার মোহাম্মদ সোলায়মান সকল ওয়ারিশের অনুরোধে ভূমির পরিমাপ করিয়া একখানা স্ক্যাপ ম্যাপ প্রদান করেন, যাহাতে কয়েকজন স্থানীয় সাক্ষীর উপস্থিতিতে আনোয়ারসহ তার আপন ভাই সোনামিয়া, বশির আহমদ ও (নোয়ামিয়া মারা যাওয়ায় তার পক্ষে তার ছেলে) মইন উদ্দিন স্বাক্ষর প্রদান করেন।
বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধীয় বিষয়টি ইতিপূর্বে নিস্পত্তির পরেও, উপরোক্ত ১-৪ নং আসামীগন ২০ মে ২০২৪ খ্রীঃ সকাল অনুমান ০৯ ঘটিকার সময় আনোয়ারের বাড়ীর সামনের চলাচলের রাস্তা সম্পূর্ণ ভাংগিয়া ফেলা কালীন সময়ে, আনোয়ার বাধা প্রদান করিলে, উপরোক্ত ০২ ও ০৩ নং আসামী আনোয়ারকে জোর পূর্বক ধাক্কা মারিয়া মাটিতে ফেলে দেয়। ৩ ও ৪নং আসামী আনোয়ারকে চড় থাপ্পড় মারে। ১ ও ২নং আসামী আনোয়ারকেসহ তার পরিবার পরিজনকে হত্যা করে, বাড়ী ঘর হইতে উচ্ছেদ করার হুমকী প্রদান করেন।
তৎপর গত ২৮ জুন ২০২৪ খ্রীঃ সকাল অনুমান ১১ ঘটিকার সময় আনোয়ার ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে আপোষ মীমাংসার আশায় অবহিত করিলে, ১ ও ২ নং আসামীগন আনোয়ারের বাড়িতে আসিয়া আনোয়ারসহ তার পরিবার পরিজনকে সন্ত্রাসীর মাধ্যমে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকী প্রদানসহ বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে ১-৪ নং আসামীর বিরুদ্ধে মাননীয় আদালতে গত ৩ জুলাই ২০২৪ খ্রীঃ আনোয়ার হোসেন ১৪৩/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ ও ৩৪ দন্ডবিধিতে মামলা দায়ের করিলে, উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির কর্ণফুলী থানার এস আই মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বেপারী গত ৩১ জুলাই ২০২৪ খ্রীঃ বিজ্ঞ আদালতে মতামত প্রদান করেন যে,মামলাটি সার্বিক তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ এবং ঘটনার পূর্বাপর পারিপার্শ্বিকতায় জানা যায় যে, মোঃ বেলাল, মোঃ রানা, মোঃ আজম, মোঃ কাদের কর্তৃক বাদী আনোয়ারকে মারধর এবং বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে ভয়ভীতি প্রদান করে পেনাল কোড ৩২৩/৫০৬ ধারায় অপরাধ করেন। গত ১১ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রিঃ সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময়, আনোয়ার তার উক্ত দখলীয় জায়গায় নির্মাণাধীন পাকা বসত ঘরের ভিতরে ও বাহিরের দেওয়ালে আস্তর করিতে গেলে, উপরোক্ত মামলা ও তদন্ত প্রতিবেদনের জের ধরিয়া মামলার আসামী মোঃ বেলাল, মোঃ রানা, মোঃ আজম ও পারভিন আকতার আনোয়ার হোসেনকে বাধা প্রদান করে এবং আনোয়ারসহ কাজ করতে আসা তার মিস্ত্রিদের খারাপ ভাষায় গালাগালিসহ উপরোক্ত মামলা তুলে না নিলে আনোয়ারসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট এমনকি যেকোনো ধরনের ক্ষতি করার হুমকি প্রদান করিলে, আনোয়ার উক্ত তারিখেই স্থানীয় কর্ণফুলী থানায় ৫৩১ নং ডায়রী করিলে, ডায়রীর তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পাইয়া, মাননীয় আদালতে গত ২১ ফেব্রুয়ারী ২৫ খ্রীঃ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন, যাহার নন জি আর মামলা নং ৩৯। উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে দৈনিক সাঙ্গুতে “মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকী, আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি” শিরোনামে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ হয়।
এত বেআইনি কাজের পরেও আসামীগন ক্লান্ত না হইয়া আবারো অঘটন ঘটাইলে, গত ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রীঃ আনোয়ারের স্ত্রী ফরিদা বেগম বাদী হইয়া সিএমপির কর্ণফুলী থানায় ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রীঃ সকাল আনুমানিক ০৯:৩০ ঘটিকার সময় সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে মোঃ বেলাল, মোঃ কাদের, মোঃ নাজিম, পারভিন ও রেহানা আক্তারকে আসামী করিয়া মামলা দায়ের করে, যার নং ১৮(১)২৫, ধারাঃ ১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৫০৬ দঃ বিঃ। আনোয়ার গত ১১ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রিঃ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় তার পুরাতন বসত ঘরের পাকা দেওয়ালে আস্তরের কাজ করার সময় উপরোক্ত মামলার আসাসীগন বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রিঃ সকাল অনুমান ০৯:৩০ ঘটিকার সময় আনোয়ারের বসত ঘরের দেওয়ালে অবশিষ্ট আস্তরের কাজ করিতে গেলে, আসামীগণ বেআইনী ভাবে বাধা প্রদান করে। আনোয়ারের স্ত্রী প্রতিবাদ করিলে, বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হইয়া তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে ০১নং বিবাদী হত্যার উদ্দেশ্যে আনোয়ারের স্ত্রীকে কিরিচ দিয়া মাথায় কোপ মারিলে, উক্ত কোপ মাথার মাঝখানে লাগিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। আনোয়ারের স্ত্রীর শোর চিৎকারে আনোয়ার ঘটনাস্থলে আগাইয়া আসিলে, উপরোক্ত ০২-০৫ নং বিবাদীগণ আনোয়ারকেও, গাছের বাটাম দিয়া এলোপাথাড়ি বারি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। তৎপর আনোয়ারের ছেলে মোঃ জুয়েলসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আনোয়ারসহ তার স্ত্রীকে সিএনজি যোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার আনোয়ারের স্ত্রীকে পরীক্ষা নিরিক্ষা করিয়া, উক্ত হাসপাতালে নিউরোসার্জারী বিভাগের ২৮নং ওয়ার্ডে ৩৫ নং বেডে ভর্তি করান এবং ডাক্তার আনোয়ারকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রিলিজ প্রদান করেন।
আনোয়ারসহ তার স্ত্রীর দায়েরকৃত উপরোক্ত ডায়রী ও মামলার জের ধরে মামলার আসামীগন পরস্পর যোগসাজশে একই উদ্দেশ্যে গত ২৮ জুন ২০২৫ খ্রীঃ কর্ণফুলী থানায় ডায়রী নং ১৫৬৮ রুজু করিলেও, মাননীয় আদালত গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২৫ খ্রীঃ উক্ত ডায়রীর, তদন্ত অনুমতির আবেদন না মঞ্জুর করে, ডায়রী নিস্পত্তি করেন। তৎকারণে উপরোক্ত আসামী মোঃ বেলাল ক্ষুব্ধ হইয়া, আনোয়ারসহ তার ছেলে জুয়েল ও ফয়সাল এবং আনোয়ারের ভাই বশির আহমদসহ তার ছেলে মোঃ সজিবকে আসামী করে কর্ণফুলী থানায় ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রীঃ একখানা মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, যার নং ১৫(১)২৫। ইদানিং উপরোক্ত আসামীগন এলাকায় বলাবলি করিতেছে যে, তাদের সাথে কর্ণফুলী থানা পুলিশের সুসম্পর্ক থাকায়, তারা যেকোন উপায়ে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বশে নিয়ে, আনোয়ারসহ তার পরিবার পরিজনের অপুরণীয় ক্ষতি করিবে। উল্লেখ্য যে, আনোয়ার বিদেশে থাকাকালীন সময়ে আসামীর অনেককে আর্থিকসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করেন ৷ এখন বিভিন্ন কারণে সহায়তা করতে না পারায়, তারা বেআইনি কর্মকান্ডের মাধ্যমে আনোয়ারের টাকা ও সম্পত্তি আত্মসাতের কু- উদ্দেশ্যে উক্তরুপ অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করিয়া আসিতেছে মর্মে আনোয়ারসহ তার আত্মীয় স্বজনরা জানায়।