1. ctgnews16@gmail.com : ctgnewsbd : Nurul Absar Ansary
  2. banglahost.net@gmail.com : rahad :
হেপাটাইটিস ছোঁয়াচে নয় চিকিৎসায় ভালো হয় - Ctg News BD
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
মাহবুব-ইসমাইলের মাদক ও নারীর ভয়ানক সিন্ডিকেট বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে “লোহাগাড়ায় উপজেলা প্রশাসনে এখনো বহাল তবিয়তে আওয়ামী আশীর্বাদপুষ্ট ইউএনও” কনেস্টবল মশিউরের বিরুদ্ধে ভূমিদখল ও প্রতারণার অভিযোগ লোহাগাড়ায় ১৬ বছর যাবৎ প্রবাসী পরিবারের উপর আওয়ামী দস্যু বেলালের নির্মম অত্যাচার”* কৃষক থেকে কোটিপতি: এস আলমের সহযোগী চিনি মোসলেম কর্ণফুলীর বাসিন্দা আনোয়ারের বসতঘরের পাকা দেওয়ালে আস্তর দিতে বাধাদানসহ চলাচলের রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ সম্পাদক-সাংবাদিক-মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের সংক্ষিপ্ত জীবনী অন্ধদের ঘাড়ে চেপে প্রকাশ্যে আসছে হাসিনার দোসররা গাড়ী ছিনতাইয়ের অভিযোগে রুবেল- মিজান- রিপনের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় অভিযোগ

হেপাটাইটিস ছোঁয়াচে নয় চিকিৎসায় ভালো হয়

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩
  • ১৪৯০ বার পঠিত

১৯৬৯ সালে ড. বারুক স্যামুয়েল ব্লুমবার্গ ও তাঁর দল হেপাটাইটিস বি ভাইরাস শনাক্ত করে। পরে এর রোগ নির্ণয় পরীক্ষা উদ্ভাবন এবং টিকা তৈরি করে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। এই আবিষ্কার স্মরণ করে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর ড. বারুক স্যামুয়েল ব্লুমবার্গের জন্মদিন, অর্থাৎ ২৮ জুলাই বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালন করা হয়।

হেপাটাইটিস বি ও সির কারণে প্রতিবছর ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। এই হার এইচআইভি/ এইডস এবং ম্যালেরিয়ার চেয়ে বেশি। বাংলাদেশে প্রায় ৬ শতাংশ
বি এবং প্রায় ১ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রান্ত; অর্থাৎ প্রায় এক কোটি মানুষ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত। প্রতিবছর অন্তত ২৫ হাজার মানুষ মারা যায় এই ভাইরাসে সংক্রমণের কারণে। বাংলাদেশে প্রায় ৮৫ শতাংশ লিভার ক্যানসার হয় হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাসের যেকোনো একটির কারণে। অথচ আক্রান্ত রোগীর প্রতি ১০ জনের ৯ জনই জানে না যে তারা হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত।

এ বছর হেপাটাইটিস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘হেপাটাইটিস, আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা নয়’। এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে হেপাটাইটিস পরীক্ষা করুন, প্রয়োজনে এর প্রতিষেধক ও চিকিৎসা নিন।

হেপাটাইটিস বলতে লিভারে প্রদাহজনিত জটিলতাকে বোঝায়। ভাইরাল হেপাটাইটিস হলো ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট লিভারের প্রদাহ। হেপাটাইটিসের ভাইরাস
পাঁচ ধরনের—যেমন হেপাটাইটিস

এ, বি, সি, ডি এবং ই। হেপাটাইটিস বি ও সি হচ্ছে সবচেয়ে মারাত্মক। এই দুই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের বেশির ভাগই লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো শারীরিক সমস্যা বা লক্ষণ অনুভব করে না। তবে অনেক সময় এক বা একাধিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

লক্ষণ

জন্ডিসের লক্ষণ প্রকাশ, অর্থাৎ চোখের সাদা অংশ এবং পুরো শরীর হলুদ হয়।
কখনো কখনো পেটের ডান পাশের ওপরের দিকে ব্যথা হয় এবং দুর্বলতা বা ক্লান্তিবোধ হয়।
ফ্লুর মতো জ্বর বা জ্বর জ্বর ভাব হয়।
বমি বা বমি ভাব কিংবা ক্ষুধামান্দ্য হতে পারে।
শরীর ও পেশিতে ব্যথা হয়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়।
হেপাটাইটিস কীভাবে ছড়ায়

হেপাটাইটিস এ ও ই মূলত দূষিত খাবার খাওয়া বা দূষিত পানি পানের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপদ পানির অভাব এবং স্যানিটেশন স্বল্পতার সঙ্গে অভাবগ্রস্ত দেশগুলোতে প্রায়ই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
হেপাটাইটিস বি সংক্রামিত ব্যক্তির রক্ত বা শরীরের অন্যান্য তরলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন এটি প্রসবের সময় মা থেকে সন্তানে ছড়িয়ে যেতে পারে অথবা রেজার কিংবা টুথব্রাশ ভাগাভাগির মাধ্যমে, অরক্ষিত যৌন মিলন কিংবা ইনজেকশনের সুচ ও সিরিঞ্জ ভাগাভাগির মাধ্যমেও ছড়িয়ে যায়।
হেপাটাইটিস সি রক্ত থেকে রক্তের যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
হেপাটাইটিস প্রতিরোধের উপায়

হেপাটাইটিস এ ও ই-এর সংক্রমণ রুখতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, নিরাপদ খাবার, খাওয়ার আগে হাত ধোয়া নিশ্চিত করতে হবে।
রক্তদান ও গ্রহণের আগে রক্তদাতার হেপাটাইটিস বি ও সি পরীক্ষা করে নিতে হবে।
একই ইনজেকশনের সুচ একাধিক ব্যক্তির ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
চিকিৎসা বা সার্জারির সময় জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
অন্যের ব্যবহৃত ব্রাশ, শেভিং রেজার, কান বা নাক ছিদ্রকরণের সুচ ব্যবহার করা যাবে না।
নিরাপদ যৌন চর্চা করতে হবে।
নবজাতকদের জন্মের পরপরই হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন দিতে হবে।
লিভারের পক্ষে ক্ষতিকারক বস্তু, যেমন অ্যালকোহল বা ধূমপান বর্জন করতে হবে।
মনে রাখতে হবে, হেপাটাইটিস ছোঁয়াচে নয়। হেপাটাইটিস বি ও সি চিকিৎসাযোগ্য এবং চিকিৎসায় অনেকটাই নিরাময়যোগ্য। সাম্প্রতিক সময়ে আবিষ্কৃত কার্যকর নতুন নতুন ওষুধ বাজারে সহজলভ্য হওয়ায় চিকিৎসার মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস প্রায় ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে নিরাময়যোগ্য।

লেখক: পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার লি. মিরপুর ১০, ঢাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Customized BY WooHostBD