মোঃ হোসেন ও হারুন গংয়ের বিভিন্ন বেআইনী কর্মকান্ড বিশেষ করে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করার সংবাদ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার বরাবর জনৈক ব্যক্তির ০১লা নভেম্বর ২৩ খ্রীঃ দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায় যে, চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ কথিত শ্রমিক নেতা মোঃ হোসেন প্রকাশ বুড়া চাঁদবাজ হোসেন্যা (মোবাইল নম্বর ০১৮৮২-২২ ৫৬ ৩৩), মোঃ হারুন প্রকাশ মদদী হারুন্যা (মোবাইল নম্বর ০১৯১৮- ৪৬৭৮৭৯) এবং তাদের কুকর্মের সহযোগী চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রীজ এলাকার রাজাখালীস্থ বকুল বেগম প্রকাশ বকুলীর ছেলে মোঃ সাদ্দাম, সাদ্দামের সহয়োগী সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মোঃ জমির, কথিত শ্রমিক মোঃ মনিরসহ উপরোক্ত চাঁদাবাজদের দলীয় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা অভিযোগকারীসহ নীরিহ লোকদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। বুড়া চাঁদাবাজ মোঃ হোসেন প্রঃ চাঁদাবাজ হোসেন্যা ও মোঃ হারুন প্রঃ মদদী হারুন্যা গং, স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ করে বাকলিয়া থানা, ০৭নং রোডে নতুন ব্রীজ এলাকায় দায়িত্বরত টিআইসহ সার্জেন্টগন এবং তৎসংশ্লিষ্ট অপরাপর প্রশাসনের লোকজন, স্থানীয় কয়েকজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, কয়েকজন সরকার দলীয় কথিত রাজনৈতিক নেতাদের দৈনিক কিংবা মাসিক মাসেহারা দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর ০৭নং রোডের লাইনটি পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। বি আর টি এর মৌাখক ভাষ্য মতে এই রোডে ১৬৯ টির মত “অটো টেম্পু” গাড়ীর রোড পারমিট আছে।
উক্ত গাড়ী সমূহ ব্যতিত এই রোডে প্রায় আরো ৩০০ এর মত অবৈধ “অটো টেম্পু” গাড়ী প্রকাশ্য দিবালোকে চলাচল করে থাকে। বৈধ এবং অবৈধ প্রতি গাড়ী হইতে উপরোক্ত চাঁদাবাজরা প্রত্যহ নুন্যতম ১৩০ + ২০ = ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা হারে দিবালোকে প্রকাশ্যে উক্ত স্থানে কর্তব্যরত পুলিশের নাকের ডগায় চাঁদা আদায় করে থাকে।
এই চাঁদাবাজ রিপনকে গ্রেফতার পূর্বক ব্যাপক জিঙ্গাসাবাদ করিলে, রিপন কাদের নির্দেশে প্রকাশ্যে পুলিশের নাকের ডগায় চাঁদাবাজি করছে, তার অপরাপর দলীয় চাঁদাবাজদের নাম এবং উক্ত চাঁদার ভাগ কোথায় কোথায় পৌঁছে ইত্যাদির প্রাথমিক তথ্য উদঘাটন হইবে এবং উক্ত ব্যক্তিদের সহজেই আইনের আওতায় আনা সহজ হবে।
চাঁদাবাজদের দৈনিক আয় (৩০০ গুন ১৫০ =) ৪৫,০০০/- (পঁয়তাল্লিশ হাজার) টাকার মত। কোন গাড়ীর ড্রাইভার টাকা দিতে না পারিলে, তাদের উপর নেমে আসে মধ্য যুগীয় কায়দায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। শুধু তাই নয়, তাদের থেকে কেড়ে নেয়া হয় রুজি রোজগারের মাধ্যম গাড়ীটিও। চাঁদাবাজরা গাড়ীর মালিককে জানাইয়া দেয় যে, এই ড্রাইভারকে গাড়ী চালাতে দিলে, সার্জেন্ট এর মাধ্যমে টু করিবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কয়েকজন অতি উৎসাহী সার্জেন্ট এই চাঁদাবাজদের কথায় গাড়ী টু করে দেয়। তৎকারণে গাড়ীর মালিকরাও তাদের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম বিশেষ করে চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনা। বেশীর ভাগ অটো টেম্পুর ড্রাইভার এবং উক্ত গাড়ীর মালিক পক্ষ অনেকেই এদের কাছে জিম্মি, কারণ চাঁদাবাজরা প্রায়ই স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে থাকে। উপরোক্ত টাকা গণনাকারী ব্যক্তির নাম রিপন মর্মে জানা যায়, যিনি প্রায় সময় হোসেন ও হারুনের কথামত ০৭ নং রোডস্থ নতুন ব্রীজ এলাকা হইতে চাঁদার টাকা তোলার সংবাদ পাওয়া যায়। নতুন ব্রীজ এলাকা হইতে ছবিটা তোলা।
সচেতন মহল মনে করেন, চাঁদাবাজদের অর্জিত টাকার ভাগ যেহেতু বিভিন্ন স্থানে/দপ্তরে পৌছে সেহেতু তাদের কথা মত ট্রাফিক বিভাগের কিছু অসাধু টি আই/সার্জেন্ট সাহেবরা, তাদের অবৈধ অনুরোধ অনেক ক্ষেত্রে রক্ষা করতে বাধ্য হন। চাঁদাবাজদের টাকা বিভিন্ন দপ্তর/স্থানে ভাগ বাটোয়ারার পরেও, চাঁদার বড় একটা এমাউন্ট চাঁদাবাজরা পায়। উক্ত টাকার মাধ্যমে উপরোক্ত চাঁদাবাজরা তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দেয়া ভূক্তভোগীদের অভিযোগ সমুহ ধামা চাঁপা দিয়ে, আবারো পূর্বের মত চাঁদাবাজী করে থাকে। ইতিপূর্বে চাঁদাবাজদের বিভিন্ন ধর্তব্য / অধর্তব্য অপরাধের বিষয়ে ০৭নং রোডের জনৈক ড্রাইভার মহিউদ্দিন গত ২৭ নভেম্বর ২০২৩ খ্রীঃ বাদী হইয়া সিএমপির পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করিলে, তাহা বাকলিয়া থানা প্রশাসন তদন্ত করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম রবিউল হক, যার মোবাইল নম্বর ০১৯৮৪- ৪০০৬২৭ হয়। উক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নিকট উপস্থিত হইয়া মহিউদ্দিন তার সাথে সংঘঠিত ঘটনার বিষয়ে জবানবন্ধিসহ চাঁদাবাজীর ভিডিও প্রদান করার পর, উপরোক্ত চাঁদাবাজ হোসেন ও হারুন গং বিভিন্ন ভাবে মহি উদ্দিনকে হুমকী প্রদান করে যে, অভিযোগ করে লাভ নেই। তুই তো চাঁদা দিবি সাথে তোর বাপও চাঁদা দিবে। পুলিশকে জবানবন্ধি দিয়েও কোন লাভ নেই। এই চাঁদার ভাগ বর্তমান ও সাবেক মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সবাই পায়। হয় চাঁদা দিয়ে গাড়ী চালাবি নয়তো অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাবি। বেশী বাড়াবাড়ি করিলে মৃত্যুর জন্য প্রস্তত থাক। তুইসহ তোর গডফাদারকেও জানে শেষ করে দেব ইত্যাদি ইত্যাদি। মহিউদ্দিন এর দায়েরকৃত অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা রবিউল অজ্ঞাত কারণে অদ্যাবধি দৃশ্যমান কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করায়, চাঁদাবাজরা অভিযোগকারী মহি উদ্দিনকে মারধর করার জন্য তার বাসায় গিয়ে খুঁজতে থাকে। তৎপরবর্তীতে মহি উদ্দিন গত ০৯ অক্টোবর ২৩ খ্রীঃ বাদী হয়ে উপরোক্ত চাঁদাবাজদের আসামী করিয়া আবারো বিভিন্ন দপ্তর বিশেষ করে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, বন্দর এবং ক্রাইম বিভাগে দায়িত্বরত উপ- পুলিশ কমিশনার বরাবর রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে অভিযোগ প্রেরণ করেন, যার ডাক রশিদ নং যথাক্রমে ৬৪৩-৬৪৭ হয়। উপরোক্ত মহিউদ্দিনের অভিযোগ এর বিষয়ে উল্লেখিত বিষয়াদির তদন্ত চলমান থাকাবস্থ্যায় উপরোক্ত চাঁদাবাজ হোসেন ও হারুন গং আবারো বিভিন্ন শ্রমিককে নির্যাতন করায়, শ্রমিকদের পক্ষে জনৈক আলা উদ্দিন বাদী হইয়া গত ৩১ অক্টোবর ২০২৩ খ্রীঃ আবারো বিভিন্ন দপ্তর বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও স্বরাস্ট্র মন্ত্রীর সচিবসহ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সি এম পির পুলিশ কমিশনার বরাবর ডাকযোগে অভিযোগ প্রেরণ করেন, যার ডাক রশিদ নং যথাক্রমে ৩৯৮, ৩৯৯, ৩৯৬, ৩৯৭ হয়। অভিযোগকারী আলা উদ্দিন তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, অভিযোগকারী চট্টগ্রামের ০৭নং রোডসহ মহানগরীর বিভিন্ন রুটে “অটো টেম্পু” চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করিত। ০৭নং রোডে গাড়ী চালানোর সময় দীর্ঘদিন যাবৎ উপরোক্ত লোকজন তার নিকট হইতে বহদ্দারহাট ও নতুন ব্রীজ এলাকায় আসিয়া দৈনিক ১৩০ + ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করিত। আলা উদ্দিন মাঝে মধ্যে তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিলে, চাঁদাবাজরা তার জান- মালের ক্ষতি করার “অপরাধ জনক ভয়ভীতি ও হুমকী” প্রদান করিত। তৎকারণে আলা উদ্দিন বাধ্য হইয়া তাদেরকে চাঁদা প্রদানের মাধ্যমে গাড়ী চালাইতো। গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ খ্রীঃ আনুমানিক সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময়, উপরোক্ত বুড়া চাঁদাবাজ মোঃ হোসেন প্রকাশ চাঁদাবাজ হোসেনন্যা এবং তার ডান হাত নামে পরিচিত বহদ্দার হাটের কুখ্যাত সন্ত্রাসী উপরোক্ত চাঁদাবাজ মোঃ হারুন প্রঃ মদদী হারুন্যা পূর্বের মত আলাউদ্দিনের নিকট হইতে তাদের নিয়ন্ত্রিত উপরোক্ত লোকের মাধ্যমে আবারো ১৫০/- টাকা চাঁদা দাবী করে। আলাউদ্দিন চাঁদা দিতে অস্বীকার করিলে, উপরোক্ত চাঁদাবাজরা আলা উদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুসি, লাথি মেরে রক্তাক্ত আহত করিলে, আলা উদ্দিন প্রাণের ভয়ে চাঁদা দিতে বাধ্য হয়। উপরোক্ত লোকজন আলা উদ্দিন হইতে চাঁদা গ্রহনের পর চাঁদাবাজরা আলা উদ্দিনকে হুমকী দেয় যে, সবাই যেভাবে আমাদের চাঁদা দেয় সেইভাবে তুমিও দিবা। অন্যথায় এভাবে মার খাইয়া গাড়ী চালাইবা। গত ২৯ অক্টোবর ২৩ খ্রীঃ আনুঃ সময় ০৯.০০ ঘটিকার সময় উপরোক্ত ১ ও ২ নং ব্যক্তি চাঁদাবাজ হোসেন ও হারুন গং পূর্বের মত আবারো ১৫০ টাকা চাঁদা দাবী করে। তখন টাকার অভাবে চাঁদার টাকা দিতে না পারায় হোসেন ও হারুন অভিযোগকারী আলাউদ্দিনকে উপরোক্ত ৩, ৪ ও ৫ নং ব্যক্তি যথাক্রমে সাদ্দাম, জমির ও মনির এর মাধ্যমে এলোপাতারী মারধর করিয়ে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ফুলা জখম করে। গত ৩০ অক্টোবর ২০২৩ খ্রীঃ বিকাল আনুঃ ৩ ঘটিকার সময় উপরোক্ত লোকজন যেকোন সার্জেন্টের মাধ্যমে আলা উদ্দিনের ভাড়ায় চালিত “অটো টেম্পু” গাড়ী টু করে দিবে মর্মে হুমকী দেয়, যদি তাদেরকে প্রতিদিন চাঁদা না দেয়। আলা উদ্দিনের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ীর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট থাকার পরেও সার্জেন্টের মাধ্যমে আলা উদ্দিনের গাড়ীটি টু করে দেওয়ার হুমকী প্রদান রহস্যময়। চট্টগ্রাম বিভাগের বি আর টি এর অফিস সূত্রে জানা যায়, ০৭নং রোডে ১৬৯টি অটো টেম্পুর রোড পারমিট আছে। অথচ এই গাড়ী সমূহ ব্যতিত উক্ত রোডে আরো প্রায় ৩০০ (তিন শত) এর অধিক “অটো টেম্পু” গাড়ী, কথিত আবেদিত গাড়ী উল্লেখে অবৈধ ভাবে চলাচল করে। যাহা উক্ত স্থানে দায়িত্বরত টি আই/ সার্জেন্টগণ দেখেও না দেখার ভান করে। শুধু “অটো টেম্পু” নয়, বিভিন্ন ধরনের গাড়ীও রোড পারমিট ছাড়া উক্ত ০৭নং রোডে অহরহ চলাচল করে, যাহা সরজমিনে তদন্ত করিলে সুস্পষ্ট ভাবে প্রতীয়মান হইবে।
রোড পারমিট, চট্ট মোট্টে গাড়ী ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের গ্রাম গাড়ী অত্র রোডে অহরহ চলাচল করে। অবৈধ গাড়ী রাখার জন্য অবৈধ ভাবে গাড়ীর কয়েকটি অবৈধ স্ট্যানও নতুন ব্রীজ এলাকায় দৃশ্যমান।
অনেক সাংবাদিক সংবাদ প্রচারের জন্য উপরোক্ত অনিয়মের বিষয়াদি সংগ্রহ করার পরেও, অজ্ঞাত কারণে সংবাদ প্রচার করেন না। উপরোক্ত চাঁদাবাজরাসহ বিভিন্ন সিন্ডিকেটে জড়িত অপরাপর চাঁদাবাজরা বিভিন্ন গাড়ীর ড্রাইভার হতে প্রত্যহ স্থানীয় প্রশাসনের গোচরে প্রকাশ্য দিবালোকে বিভিন্ন অংকের টাকা চাঁদা আদায় করায়, ড্রাইভাররা খরচ পোষাতে বাধ্য হয় যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করিতে। এই ধরনের অসাধু চাঁদাবাজদের কারণে দেশটা যেন মগের মুল্লকে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপরোক্ত চাঁদাবাজরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে পরস্পর যোগসাজসে প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রতি “অটো টেম্পু” হইতে বিভিন্ন অংকের টাকা বিশেষ করে নুন্যতম ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা করে প্রত্যহ ড্রাইভারদের নিকট হইতে চাঁদা আদায় করে । উক্ত টাকা বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে বিলি করার পর, একটা মোটা অংকের
এমাউন্ট উপরোক্ত চাঁদাবাজদের পকেটে যায়। তৎকারণে চাঁদাবাজরা এতো বে-পরোয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে শত অভিযোগ হলেও, তারা অভিযোগকে পাত্তা দেয় না। বরং যারা অভিযোগ করে উল্টো তাদেরকে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে হেনস্থা কিংবা মিথ্যা মামলায় জড়িত করে হয়রানী করে থাকে। এমনকি অভিযোগকারীকে গাড়ী চালাতে না দেওয়ার জন্য, অনেক গাড়ীর মালিককে বিভিন্ন ভাবে বাধ্য করে। মুলতঃ কিছু অটো টেম্পু” গাড়ীর মালিক ও ড্রাইভারগণ উপরোক্ত চাঁদাবাজদের কাছে এক প্রকার জিম্মি।
সচেতন মহলের মতে, স্থানীয় প্রশাসনের আশ্রয় প্রশ্রয়ে উপরোক্ত চাঁদাবাজরা এত বেপরোয়া। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ কিংবা অভিযোগ উপরোক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের জন্য কিছুই না। কারণ যারা এসবের তদারকি/ আইনগত ব্যবস্থা নিবেন, তারাই এদের নিকট হতে চাঁদার ভাগ পায়। তা না হলে নতুন ব্রীজ এলাকায় অফিস নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে এরা চাঁদাবাজি করে কেমনে ? গুটি কয়েক অসৎ পুলিশের এহেন অনৈতিক কর্মকান্ড পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিধায় পুলিশ বিভাগের সুনাম রক্ষার্থে, সৎ পুলিশ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে উপরোক্ত বিষয়াদির আরো তথ্য- উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক উপরোক্ত চাঁদাবাজসহ তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট অজ্ঞাতনামা অপরাপর ব্যক্তি/প্রতিষ্টানে কর্মরতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অতীব জরুরী।
অভিযোগকারী উক্ত অভিযোগের অনুলিপি সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন (বাসক), চট্টগ্রাম বিভাগ, বাংলাদেশকে ঘটনার সত্যতা যাচাই পূর্বক উপরোক্ত চাঁদাবাজসহ তৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রেরণ করেন। তৎপ্রেক্ষিতে উক্ত সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারন সম্পাদক ঘটনার সত্যতা যাচাই পূর্বক চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিশেষ করে সিএমপির পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রামের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উত্তর ও দক্ষিণ এর উপ- পুলিশ কমিশনারকে উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে অবগতিপত্র প্রেরণ করেন। ঘটনার সংক্রান্তে বাসক এর সাধারন সম্পাদকের অনুরোধে সাংবাদিকের একটি বিশেষ টীম ব্যাপক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। বাসকের চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারন সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, অভিযোগকারীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে বাসকের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ধারায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা দায়েরের মাধ্যমে, চাঁদাবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস প্রদান করেন। বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন ভূক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনস্বার্থে সংবাদখানা প্রচারিত। আরো তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের প্রচেষ্টা চলছে। আগামীতে চাঁদাবাজদের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য জানতে চাইলে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। (চলবে)।