হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দারুণ তিন কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ নারী দল। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ওয়ানডে জিতেছে। শেষ ম্যাচে নারী ক্রিকেটে দেশের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন ফারজানা হক।
সিরিজের শেষটা আরও ঐতিহাসিক হতে পারতো। বল হাতে দুর্দান্ত দৃঢ়তায় সিরিজ জয়ের খুব কাছে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ টাই হয়েছে। এতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ এ শেষ হওয়ায় সিরিজ ভাগাভাগি হয়েছে। প্রথমবার ভারতের বিপক্ষে সিরিজ না হারার কীর্তি গড়েছে মেয়েরা।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ফারজানা হকের ১০৭ রানে ভর করে ৪ উইকেটে ২২৫ রান তোলে বাংলাদেশ নারী দল। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে যা মেয়েদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ফারজানা ওই ইনিংস খেলার পথে ১৬০ বলের মুখোমুখি হন। তার ব্যাট থেকে সাতটি চারের শট আসে। ছিল না কোন ছক্কা। বাকি রান তিনি ডাবল-সিঙ্গেলে নিয়েছেন। অর্থাৎ তার সেঞ্চুরি যতটা না চার-ছক্কার গল্প তার চেয়ে বেশি দৃঢ়তা-লড়াই আর পরিশ্রমের।
ফারজানার সঙ্গে ওপেনার শামীমা সুলতানা ৯৩ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন। এই ওপেনার খেলেন ৭৮ বলে পাঁচ চারের শটে ৫৩ রান। এছাড়া তিনে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানা ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। পাঁচে নামা সোবহানা মুস্তারি ২২ বলে ২৩ রান করেন।
জবাব দিতে নেমে সফরকারী ভারত ১১ রানে প্রথম এবং ৩২ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। এরপর ওপেনার স্মৃতি মান্দানার সঙ্গে চারে নামা হারলিন দেওল ১৩৬ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন। স্মৃতি ফিরে যান ৫৯ রান করে। দেওল ফেরেন ১০৮ বলে নয় চারের শটে ৭৭ রান করেন।
মিডল অর্ডারের দেওল দলের ১৯১ রানে সাজঘরে ফিরে যান। জিততে ভারতের তখন ৮.৪ ওভারে দরকার মাত্র ৩৫ রান। সেখান থেকে দুর্দান্ত দৃঢ়তা দেখান মেয়েরা। ২১৭ রানের মধ্যে তুলে নেয় ভারতের ৯ উইকেট। নাহিদা ও রাবেয়া একে একে সাজঘরে ফেরান আমনজোত, স্নেহা ও দেবিকাকে।
ম্যাচের পাল্লা তখন দুই পক্ষে ফিফটি-ফিফটি। শেষও হয়েছে ফিফটি-ফিফটিতে। যদিও শেষ ব্যাটার মেঘনা সিং একটা চার মেরে দলকে জয়ের কাছে এনেছিলেন। কিন্তু এক রান দূরত্বে থাকতে তাকে আউট করে দেন দেশের উদীয়মান পেসার মারুফা আক্তার। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে ৩৩ রান করা জেমিমাহ রদ্রিগেজ দেখেছেন দলের এই ব্যাটিং বিপর্যয়।