বেবি চক্রবর্ত্তী :- আরজি কর হাসপাতালে তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার আগুন এখনও নেভেনি গোটা বিশ্বজুড়ে চলছে আজও প্রতিবাদ। তার মাঝেই এবার বিহারে একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। বিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক নার্সকে গণধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে খবর। এই ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সূত্রের খবর নির্যাতনকারীদের মধ্যে একজন হলেন সেই হাসপাতালেরই চিকিৎসক। তিনিও ওই নার্সের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই চিকিৎসক আবার ওই নার্সিংহোমের অন্যতম প্রশাসক। তার বিরুদ্ধেই এই ভয়াবহ অভিযোগ। তবে ওই নার্স কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। তার আগে তিনি ব্লেড দিয়ে ওই চিকিৎসকের গোপন অঙ্গে আঘাত করেন। রক্তারক্তি হতেই তিনি কোনওরকমে রক্ষা পান। পাশাপাশি গঙ্গাপুরের আরবিএস হেলথ কেয়ার সেন্টারে ওই নার্স সেদিন সবে কাজ শেষ করেছিলেন। এরপর তিনি বাড়ি ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। বুধবার রাতের ঘটনা। তখন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তথা হাসপাতালের অন্যতম প্রশাসক ডাঃ সঞ্জয় কুমার ও তার দুজন সহযোগী ওই নার্সের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বলে খবর। ওই তিনজনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে খবর। তারা ওই নার্সকে রেপ করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। তবে সেই নার্স ওই দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ওই চিকিৎসকের গোপন অঙ্গে আঘাত করেন।
এরপর তিনি ওখান থেকে পালিয়ে আসেন। এরপর হাসপাতালের কাছের একটি মাঠে তিনি লুকিয়ে পড়েন। সেখান থেকেই তিনি পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ গিয়ে ওই নার্সকে উদ্ধার করে। এরপর পুলিশ এলাকায় তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে। তার দুজন সঙ্গীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ডেপুটি সুপারিন্টেডেন্ট সঞ্জয় কুমার পান্ডে জানিয়েছেন, তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে চিকিৎসকও রয়েছেন। তবে ওই নার্সের উপস্থিত বুদ্ধি তারিফ করার মতো। ওই হাসপাতালের ভেতর থেকে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর সমস্ত সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর ওই কাণ্ড ঘটনোর চেষ্টা করা হয়। তবে ওই নার্স তাঁর উপস্থিত বুদ্ধির জেরে রক্ষা পেয়েছেন। পুলিশ ওই হাসপাতাল থেকে হাফ বোতল মদ, রক্তমাখা জামাকাপড়, যে ব্লেড দিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন নার্স সেটিকে উদ্ধার করতে পেরেছে। একাধিক মোবাইলও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।