ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির উদ্বোধনের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘চরম সাম্প্রদায়িক মনোভাব থেকে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে সেখানে রাম মন্দির উদ্বোধনের মাধ্যমে ১৯৯২ সালে সংগঠিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে পুনরায় উসকানি দিয়ে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতিকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ভারত যদি সেকুলার হয়-মসজিদ কেন মন্দির হয়’, ‘মসজিদ মন্দির ভাঙলো যারা-বিশ্ব শান্তির শত্রু তারা’, সাম্প্রদায়িক চিন্তা-জানাই তীব্র নিন্দা’, ‘রাম মন্দিরের উদ্বোধন-সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইন্ধন’, ‘ঢাবি শিক্ষার্থীরা জানতে চায়-মসজিদ কেন মন্দির হয়’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে না। এদেশের মানুষ একটি ফুলে দুটি কলির মতো বসবাস করে। উগ্রবাদী ভারত সরকারের রাম মন্দির উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে আবারও পুরোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উসকানি সহ্য করবে না।’
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘উগ্রবাদী হিন্দুরা ভারতে যখন বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে তখন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে দুই হাজারের অধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন। শুধু ভারত নয়, এই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু ভাইদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছিল। রাম মন্দির উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে সেই প্রতিহিংসার আগুন আবারও জ্বালানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যেটা বাংলাদেশের সচেতন সমাজ সহ্য করবে না।’