বেবি চক্রবর্ত্তী :কলকাতা:- মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল কন্যাশ্রী’ ‘রূপশ্রী’-প্রকল্প বাংলার মুকুটে নতুন পালক জুড়ে দিয়েছে, আনন্দের সাথে জানালেন মাননীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।ফের কন্যাশ্রী-রূপশ্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইউনিসেফ। সম্প্রতি বণিকসভা সিআইআই ‘ইমপ্যাক্ট ইস্ট, ২০২৪ কনক্লেভ’ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ-এর চিফ ফিল্ড অফিস মঞ্জুর হোসেন। তিনি সামাজিক উন্নয়নে কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের উজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমহলের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বরা। টাটা স্টিলের তরফে সৌরভ রায়, বি জি সমাদ্দার অ্যান্ড সন্স-এর দেবাশিস দত্ত, জিন্দাল স্টিলের প্রশান্ত কুমার হোতা প্রমুখ।এদিনের অনুষ্ঠানে পঞ্চাশটিরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অংশ নেয়। কিছুদিন আগে কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানেও ইউনিসেফের প্রশংসা পেয়েছিল রাজ্যের একাধিক সামাজিক প্রকল্প। এমনকী কন্যাশ্রীর মতো মেয়েদের স্বনির্ভর করার প্রকল্প শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলেও জানিয়েছিল ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের প্রতিনিধি আরিয়ান দে ওয়াগত সে যাত্রায় বলেছিলেন, “কন্যাশ্রী প্রকল্প নারীদের সশক্তিকরণে বড় ভূমিকা নিচ্ছে। শিশুদের পুষ্টি, বৃদ্ধি নিয়ে ইউনিসেফ যে সব কাজ করছে সেগুলি কন্যাশ্রীর কারণে আগের থেকে বেশি সফল হচ্ছে। এই প্রকল্প কিশোরীদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করছে। বাল্যবিবাহ রোধে বড় ভূমিকা নিচ্ছে।” আসলে গরিব-বড়লোক নির্বিশেষে রাজ্যের সব মেয়ে এখন কন্যাশ্রী! ২০১৩ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প চালু করেন। যা ইউনেসকোতে সেরার শিরোপা পায়। কন্যাশ্রী এখন গোটা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত। কন্যাশ্রী প্রকল্প রাজ্যে বাল্যবিবাহের প্রবণতা কমিয়েছে। এটাও প্রমাণিত।