অবশেষে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর আলোচিত নকল স্বর্ণ ব্যবসায়ী মানিককে গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় পুলিশকে হামলা করে পালানোর সময় তার গোপনাঙ্গ কেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মানিকের পুরো নাম আহমদ কবির প্রকাশ স্বর্ণ মানিক (৩৫)। সে মৃত ছৈয়দ আহমদ প্র: কালা মিয়া ডাকাতের ছেলে এবং ওয়ারেন্টভুক্ত ১৬ থেকে ১৭ মামলার আসামি। তাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে তার বাহিনীর হাতে হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন ওসি তদন্ত সুধাংশু শেখর হালদার, এসআই আহসান হাবিবসহ অন্তত ১০ জন।
সোমবার (১৮ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার সময় উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোর রাতে উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়ন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি স্বর্ণ মানিককে ধরতে তার বাড়ীতে অভিযান চালায় পুলিশ ।
আসামীর নির্মানাধীন ২য় তলার বিল্ডিং চারদিক ঘেরাও করে গ্রেফতারের জন্য রাত ২ টার দিকে অভিযান শুরু করে। তাকে উল্লেখিত অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখিত আসামী গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্য তাহার নির্মানাধীন বিল্ডিং এর ২য় তলার বারান্দা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বষর্ণ করতে থাকে এবং তাহার সহযোগী আসামীগন বিল্ডিং এর অন্যান্য স্থান থেকে পুলিশের উপর গুলি বষর্ণ করে। পুলিশ নিজের জীবন সরকারী সম্পত্তি রক্ষার্থে ফাঁকা গুলি করে। একপর্যায়ে ধৃত আসামী আহমদ কবির প্রকাশ ডাকাত মানিক প্রকাশ সোনা মানিক ২য় তলা হইতে লাফ দিয়ে নির্মানাধীন বিল্ডিং এর নিচে থাকা স্তুপ করা পুরাতন রড, সিমেন্ট, ইটসহ নির্মাণ সামগ্রীর উপর পড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত প্রাপ্ত হয়। সে পুলিশ হেফাজতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তোফায়েল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত ডাকাত স্বর্ণ মানিককে গ্রেফতার করতে গেলে সে থানা পুলিশকে হামলা করে পালাতে গিয়ে টিনের উপর লাফ দিলে শরীরের বিভিন্ন জায়গাসহ গোপন অঙ্গ কেটে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্ত্যরত চিকিৎসক থাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। তার বিরুদ্ধে থানায় ১৬ থেকে ১৭টি মামলা রয়েছে। পুলিশ তার কাছ থেকে ১ বিদেশী বন্ধুক, ২ দেশিয় এলজি, ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। পুলিশকে হামলা ও অবৈধ অস্ত্রের অপরাধে আরো দুইটি মামলা রুজু করা হবে তার বিরুদ্ধে।