মোহাম্মদ রুবেল, পিতাঃ মরহুম বশির উল্লাহ, মাতাঃ নাজমা আক্তার, সাং- দানু মাঝির বাড়ি, চর ফৌজুদ্দিন, মনপুরা, ভোলা, বর্তমান ঠিকানা- ধুপপুল, চৌধুরী মার্কেট, থানা- হাটহাজারী, জেলা- চট্টগ্রাম বাদী হইয়া গত ২৯/৯/২০২৪ ইং তারিখে জান্নাতুল ফেরদৌস, পিতাঃ আমির হোসেন, মাতাঃ মরহুম মঞ্জুরা বেগম, সাং- ১৬৭ জীবন মুহুরী পাড়া, দক্ষিণ পুটিবিলা, থানা- লোহাগাড়া, জেলা- চট্টগ্রামসহ তার দলীয় অসৎ লোকজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে, আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির আশায়, বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক বরাবর আবেদন করেন যে, উপরোক্ত বিবাদীনি জান্নাতুল ফেরদৌস খুবই উৎশৃংখ্বল, উগ্র ও অত্যান্ত বদ স্বভাবের মহিলা হয়। গত ০৬/১১/২০২৩ ইং তারিখে উপরোক্ত বিবাদীনি, অভিযোগকারী রুবেলকে তার ৮/১০ জন কথিত বয়ফ্রেন্ডের মাধ্যমে গ্যাড়াকলে ফেলে, জান মালের ক্ষতি করা হুমকী প্রদানের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিপ্রায়ে, প্রতারণার আশ্রয়ে বিশ্বাস ভংগক্রমে সুপরিকল্পিতভাবে, বিবাদীনিকে অভিযোগকারী রুবেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিবাহ করিতে বাধ্য করে। বিবাহেের সময় জান মালের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে, রুবেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা দেন মোহর ধার্যে বিবাহ পড়ানো হয়। বিবাহের কয়েকদিন পর হতে বিবাদীনি তার কয়েকজন বয়ফ্রেন্ডের কুপ্ররোচনায় রুবেলের সাথে উৎশৃংখল আচরণ করিত এবং প্রতিবাদ করিলে উগ্র ও বদ মেজাজ দেখাইয়া কথায় কথায় তালাক দাবী করিত। বিবাদীনিকে তালাক না দিলে বিবাদীনি তার কথিত বয় ফ্রেন্ডের মাধ্যমে অভিযোগকারী রুবেলকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকিসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের প্রচেষ্টা চালায়। রুবেলকে তারা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে বিভিন্ন ধরনের কুটকৌশলের মাধ্যমে দেনমোহরের টাকা পরিশোধের চাঁপ সৃস্টি করতঃ জোরপূর্বক বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে আবারো ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা নগদে দাবি করে। তৎকারণসহ উপরোক্ত কারণাদিতে বিবাদীনির সাথে রুবেলের বনিবনা না হওয়ায়, গত ১৫/০৯/২০২৪ ইং তারিখ বিবাদীকে তার চাহিদা মতে রুবেল আরো ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা নগদে প্রদান করিলে, বিবাদীনি উক্ত তারিখে তার নিযুক্তিয় একজন আইনজীবী ও কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে রুবেলকে কাজী অফিসের মাধ্যমে খোলা তালাক প্রদান করিলে, ২৭নং দঃ আগ্রাবাদের কাজী মোহাম্মদ নুরুল হুদা আইনানুগ ভাবে উক্ত তালাক রেজিষ্ট্রেশন করেন।
বিবাদীনির সাথে রুবেলের আইনানুগ ভাবে তালাক কার্যকর হলেও, বিবাদীনি আবারো তার কথিত বেশ কয়েকজন বয়ফ্রেন্ডের মাধ্যমে রুবেলকে ফাঁদে ফেলাইয়া আরো মোটা অংকের টাকা আদায় করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।বিবাদীনির শক্তিশালী ১০/১৫ জনের একটি প্রতারক চক্র রহিয়াছে, যাদের মাধ্যমে বিবাদীনি রুবেলসহ আরো অনেক সহজ সরল ব্যক্তিদেরকে এভাবে টার্গেটের মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করেছে, যার মধ্যে বাদীনির ১ম স্বামী নুর আলম ও কথিত ২য় স্বামী রাসেল নাম বলা যায়। রুবেল বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারে যে, নুর আলমকেও রুবেলের মত এভাবে সর্বস্বান্ত করেছে। প্রথম স্বামীর সাথে জান্নাতের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর, রাসেল নামক ব্যক্তিকেও প্রেমের অভিনয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে, তার নিকট হইতেও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।বিবাদীনি চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় তার বয়ফ্রেন্ডের সহায়তায় ভাড়া বাসা নিয়ে এবং বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে গিয়ে, সেখানে বিভিন্ন জনের সাথে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে রাত কাটানোর অভিযোগ পাওয়া যায়, যাহা জান্নাতুল ফেরদৌসের ইতিপূর্বে ছেড়ে দেওয়া ভাড়া বাসা সমূহ বিশেষ করে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানাধীন শামসুদ্দিন আউলিয়ার মাজার গেট এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ভাড়া বাসাসহ বিবাদীনির বর্তমান, কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন মসজিদের পাশে অবস্থিত খোরশেদের ভাড়া বাসা অর্থাৎ খোরশেদ কলোনিতে খোঁজখবর নিলে, বিবাদীনিসহ তার কথিত বয়ফ্রেন্ডের কুকর্মের তথ্যাদি পাওয়া যাবে। বিবাদীনি তার পরিচিত বিভিন্ন লোকজনসহ তার অপরাপর কুকর্মের সহযোগীদের মাধ্যমে রুবেলসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনকে কথিত বিবাহের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার আশ্রয়ে বিশ্বাস ভঙ্গক্রমে বিভিন্ন তারিখে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে, আরাম আয়াশে জীবন যাপন করিয়া আসিতেছে। তালাকের পর রুবেলের অনুপস্থিতিতে রুবেলের মোবাইল মেরামতের দোকানে বিবাদীনি আসিয়া, উক্ত দোকানে অনধিকার প্রবেশ করতঃ রুবেলের মালিকানাধীন অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মুল্য ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা। জোর পূর্বক নিয়ে যাওয়া উক্ত জিনিসপত্র, বিবাদীনি হইতে রুবেল ফেরত চাইলে, বিবাদীনির কথিত অজ্ঞাতনামা বয়ফ্রেন্ডরা রুবেলকে হত্যা করিয়া লাশ গুম করার হুমকি প্রদান করেন বিধায় উপরোক্ত কারণ ও হেতুতে বিবাদীনিসহ তার কথিত বয়ফ্রেন্ডগনের প্রতারণা এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকী ধমকীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপরোক্ত মানবাধিকার সস্থায়, আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির অভিপ্রায়ে, রুবেল অত্রাকারে আবেদন করিতে বাধ্য হন।
উল্লেখ্য যে, অভিযোগকারী রুবেল ইতিপূর্বে হাটহাজারী থানাধীন মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাহেব বরাবরও একখানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, যাহা পুলিশ কর্মকর্তা আজম সাহেব তদন্ত করিতেছেন। বাসক ফাউন্ডেশনের পরিদর্শনটীম আবেদনে উল্লেখিত উপরোক্ত বিষয়াদি আমলে নিয়ে, আবেদনে বর্ণিত ঘটনার সত্যতা যাচাই বাছাইয়ের নিমিত্তে চট্টগ্রামের মাননীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অবগতিপত্র প্রদান করিয়া, ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন এমন কয়েকজন ঘটনাস্থলে বসবাসকারী লোকের সরাসরি সাক্ষাৎকার গ্রহণের পর, বিবাদীনির গ্রামের বাড়িতে রওনা দিলেন। অত্র সংস্থার পরিদর্শনটিম ঘটনার সত্যতা পাইলে, আবেদনকারীর পক্ষে মাননীয় আদালতে মামলা দায়ের কিংবা বিভিন্ন দপ্তরে পরিদর্শন প্রতিবেদন দাখিল করিবেন মর্মে জানায়।
অভিযোগকারী রুবেলের অভিযোগের বিষয়ে বিবাদীনির বক্তব্য গ্রহণ করার জন্য বারবার বিবাদীনির ভাড়া বাসায় গিয়েও, পাওয়া যায় নাই। বিবাদীনির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করিয়া বক্তব্য জানিতে চাইলে, বিবাদীনি জান্নাতুল ফেরদৌস একেক সময় একেক স্থানে আছেন মর্মে জানায় বিধায় বিবাদীনির বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয় নাই। ভুক্তভোগীরা বিবাহের গ্যাড়াকলে ফেলে মোট্ অংকের টাকা দাবীকারী প্রতারক জান্নাতুল ফেরদৌসসহ তার পূর্বের স্বামীর গর্ভজাত সন্তান এবং তার দলীয় অসৎ লোকজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।