বেবি চক্রবর্ত্তী: বসিরহাট:- লোকসভা ভোটের আগে ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে যখন তাঁর নাম ঘোষণা হয়, তখনই বেশ অসুস্থ তিনি। ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল। ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম। অসুস্থ শরীর নিয়েই ভোটে লড়েছেন এবং জিতেওছেন। কিন্তু আর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা হল না।আজ অর্থাৎ বুধবার দুপুরে তার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুলের ইসলামের।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি প্রথম ২০০৯ সালে তৃণমূলের টিকিটের বসিরহাটে লড়াই করে সংসদ হন তারপর ২০১৪ সালের জঙ্গিপুরে দাঁড়িয়ে হেরে যান আবার পুনরায় ২০১৬ সালে হাড়োয়া বিধানসভায় জয়ী হয়ে বিধায়ক হন। ২০২১ সালে ফের হারয়া বিধানসভা থেকে জয়লাভ করেন হাজী নুরুল। আবার অন্যদিকে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ ও সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে নিয়েও এলাকার মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ ছিল। তারই মাঝে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে অসুস্থ শরীর নিয়ে তৃণমূলের টিকিটে বসিরহাট থেকে লড়াই করেন এবং জয় লাভ করে পুনরায় সাংসদ হন।লোকসভা ভোটের পর ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে চিকিৎসা চলছিল হাজি নুরুলের। বিদেশ থেকে বিশেষ ওষুধ আনার পর শারীরিক অবস্থার সাময়িক উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। দলনেত্রীর নির্দেশে শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও প্রতিটি এলাকায় ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন এবং ফল প্রকাশের পর দেখা যায় তিন লাখেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।সাংসদ হাজী নুরুলের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর টুইট করে শোকবার্তা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। হাজী নজরুলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার বর্গসহ সারা বসিরহাটের তৃণমূল দলের মধ্যে।