চাহিদা মত ঘুষের টাকা না পেয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে সি আর মামলা নং ৫৭/২০২৩ এর “তদন্ত প্রতিবেদন” প্রেরণ না করায়, আদালতে স্পেশাল ডায়রী নং ২৭২/২৩সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডি আই জি অব পুলিশ, পুলিশ সিকিউরিটি সেলের এ আই জি অব পুলিশ, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের এ এস পি বরাবর চট্টগ্রামের রাউজান থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা অজয় দেব শীলসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক শারীরিক প্রতিবন্ধি ও অন্ধ মোঃ কামাল উদ্দিন অভিযোগ করার সংবাদ পাওয়া যায়। অভিযোগকারী কামাল চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ০৮নং কলপুর ইউনিয়নের ০৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মরহুম হাজী আবদুল মন্নানের পুত্র।
আদালতের ডায়রী ও বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, রাউজান থানার সাব ইন্সপেক্টর অজয় দেব শীল অভিযোগকারীর এলাকার জনৈক মৃত আহমদ কবির এর পুত্র সোলতান আহমদ প্রঃ কালু, মৃত আবুল খায়েরের পুত্র সিরাজুল ইসলাম প্রঃ মুহাম্মদ মিয়া, মৃত মাম্মদ মিয়ার পুত্র মোঃ জাফর আলম প্রঃ জকু, মৃত গুন্নু মিয়ার পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিকসহ তাদের দলীয় ০৮/১০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকের সাথে পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন ভাবে অভিযোগকারীর ক্ষতি করেছে এবং ভবিষ্যতেও করতে পারে। উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা উপরোক্ত লোকজনের মাধ্যমে ছলে বলে কৌশলে অভিযোগকারীর সম্পত্তি জবর দখল পূর্বক অভিযোগকারীর নির্মিত সীমানা দেওয়ালের উপর উচু দেওয়াল নির্মাণ করে, বসত ঘর তৈরির মাধ্যমে অভিযোগকারীকে অহেতুক হয়রানী করিতেছে। অভিযোগকারীর দায়েরকৃত ২৭২/২৩ নং ডায়রীতে বর্ণিত উপরোক্ত ১—৩ নং বিবাদী যথাক্রমে কালু, মুহাম্মদ মিয়া ও জকু অভিযোগকারীর গত ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং খ্রীঃ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, আদালত নং—০২, চট্টগ্রামে রুজুকৃত সি আর মামলা নং ৫৭/২০২৩ এর আসামী এবং উক্ত ডায়রীতে বর্ণিত ৪নং বিবাদী রফিকুল ইসলাম রফিক এলাকায় পুলিশের সোর্স ও মুন্সি পরিচয়দানকারী অসৎ প্রকৃতির লোক হয়। এই ৪নং বিবাদী প্রায় সময় এলাকায় একজনের সাথে আরেকজনের ঝগড়া বিবাদ লাগানোর পরবতীর্তে থানায় অভিযোগ করিয়ে, তার পূর্ব পরিচিত রাউজান থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে পরস্পর যোগসাজশে বিবাদমান পক্ষ হইতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় অভিযোগকারী কামালের নিকট থেকেও ১০,০০০/— (দশ হাজার) টাকা হাতিয়ে নেয়, কথিত বিরোধীয় জায়গা পরিমাপের কথা বলে।
উল্লেখ্য যে, অভিযোগকারী উপরোক্ত ডায়রীর ১—৩ নং বিবাদীসহ ০৯ জনকে আসামী করিয়া রাউজান আমলী আদালতে সি আর মামলা নং ৫৭/২০২৩ দায়ের করে। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন অজয় দেব শীল, এস আই (নিঃ), রাউজান থানা, চট্টগ্রাম। উক্ত এস আই উপরোক্ত ৪নং বিবাদীকে মামলায় বর্ণিত বিরোধীয় সম্পত্তির পরিমাপ করে, থানার উক্ত এস আই বরাবর একখানা প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। তৎপ্রেক্ষিতে ৪নং বিবাদী অভিযোগকারীর বাড়ীতে আসিয়া অভিযোগকারীকে বলে যে, তোমার জায়গা সঠিকভাবে পরিমাপ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সঠিকভাবে প্রতিবেদন দিতে হলে, তাকে ২০,০০০/= টাকা এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অজয় দেব শীলকে ৩০,০০০/— টাকা দিতে হবে। তার চাহিদা মতে টাকা না দিলে প্রতিবেদন বিপক্ষে যাবে। অন্যদিকে ০৪নং বিবাদীকে তার চাহিদা মতে টাকা না দেওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তাও ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ খ্রীঃ অভিযোগকারীর দায়েরকৃত সি আর ৫৭/২৩ নং মামলার “তদন্ত প্রতিবেদন” সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরণ করেননি। তৎকারণে অভিযোগকারী মোঃ কামাল উদ্দিন এক প্রকার বাধ্য হইয়া ৪নং বিবাদী রফিককে নগদে ১০,০০০/— টাকা প্রদান করিয়া বিরোধীয় সম্পত্তির সঠিক পরিমাপ করে উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সঠিকভাবে ভ’ূূমির পরিমাপ সংক্রান্তে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য অনুরোধ করে। তৎপরেও ০৪নং বিবাদীর কথিত মতে তাকে তার দাবীকৃত বাদবাকী ১০,০০০/— টাকা দিতে না পারায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সঠিক ভাবে রিপোর্ট প্রদানে গড়িমসি করিতেছে। অন্য দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অজয় দেব শীল বলেন যে, ০৪নং বিবাদী রফিকের প্রতিবেদন ব্যতিত তিনি সংশ্লিষ্ট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাবেননা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, ৪নং বিবাদীর উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানের সার্ভেয়ারের কোন আইন সম্মত সনদ নাই। এরপরেও মামলার আই ও অজয় দেব শীল অজ্ঞাত কারণে মামলায় বর্ণিত বিরোধীয় সম্পত্তি/ পাতা দেওয়াল পরিমাপের জন্য ৪নং বিবাদীকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে দায়িত্ব প্রদান করে অভিযোগকারীকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেন। এভাবে অভিযোগকারীসহ তার আপন ভাই কতক্ষণ ৪নং বিবাদী রফিক এবং কতক্ষণ মামলার আই ও অজয় দেব শীলের নিকট ধর্ণা দেওয়ার পরেও, দীর্ঘদিন অতিক্রান্তে সংশ্লিষ্ট আদালতে আই ও উক্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ না করার সুযোগে, সি আর ৫৭/২৩ নং মামলায় বর্ণিত আসামীগণ পরস্পর যোগসাজশে বিরোধীয় সম্পত্তি বিশেষ করে অভিযোগকারীর টাকায় অভিযোগকারীর সম্পত্তির উপর নির্মিত পাকা সীমানা দেওয়ালের উপর ইট দিয়ে পাকা দেওয়াল নির্মাণের মাধ্যমে বসত ঘর তৈরি করে ফেলেছে। অভিযোগকারী উক্ত বেআইনী কাজের বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বার বার অবহিত করিলে, তিনি উক্ত বিষয়ে তার কিছুই করার নেই মর্মে জানায়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপরোক্ত সি আর ৫৭/২৩ নং মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন সঠিকভাবে কম সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরণ করিলে, মামলার আসামীগণ বিশেষ করে উপরোক্ত ২৭২ নং ডায়রীতে বর্ণিত ১—৩নং বিবাদী যথাক্রমে জনৈক মৃত আহমদ কবির এর পুত্র সোলতান আহমদ প্রঃ কালু, মৃত আবুল খায়েরের পুত্র সিরাজুল ইসলাম প্রঃ মুহাম্মদ মিয়া, মৃত মাম্মদ মিয়ার পুত্র মোঃ জাফর আলম প্রঃ জকু তাদের দলীয় ০৮/১০ জন সন্ত্রাসী লোকের সহায়তায় বিরোধীয় সম্পত্তিতে বসত ঘর নির্মানের সাহস পেতনা। তদন্তকারী কর্মকর্তা যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করাসহ তাদেরকে প্রশ্রয় দেওয়াই, আসামীগণ বিরোধীয় সম্পত্তিতে মামলা দায়েরের পর তড়িগড়ি করে বসত ঘর নির্মান করার সাহস পেয়েছে।
বর্তমানে উপরোক্ত আসামীগণ এলাকায় বলাবলি করিতেছে যে, উপরোক্ত ৪নং বিবাদী জনৈক মৃত গুন্নু মিয়ার পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রকাশ রফিকের মাধ্যমে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১০,০০০/— টাকা ঘুষ প্রদান করিয়া বিরোধীয় সম্পত্তিতে ঘর নির্মান করেছে। উপরোক্ত ডায়রীর ০৪নং বিবাদী রফিক তদন্তকারী কর্মকর্তা অজয় দেব শীলকে তার চাহিদা মতে ৫০,০০০/— টাকা প্রদান করিয়া, উপরোক্ত সি আর মামলার তদন্ত প্রতিবেদনও আসামীদের পক্ষে দেওয়ার ব্যবস্থা করিবে। আসামীগণের এহেন কথাবার্তা উপরোক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অভিযোগকারী কামাল উদ্দিন জানালে, তিনি উপরোক্ত ০৪নং বিবাদীর সাথে কথা বলতে বলেন। ৪নং বিবাদীর নিকট গেলে তিনি পুলিশের জন্য ৩০,০০০/ টাকা ঘুষ দাবী করেন। অভিযোগকারী এত টাকা দিতে পারবেনা বলিলে ০৪নং বিবাদী রফিক জনৈক মোঃ মোস্তফা সওদাগরের সাথে দেখা করতে বলেন। খবর নিয়ে জানতে পারলাম উক্ত সওদাগরের সাথেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে।
উপরোক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘদিন যাবৎ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ না করাসহ উপরোক্ত ডায়রীতে বর্ণিত ১—৪নং বিবাদীর এহেন বিভিন্নমূখী ষড়যন্ত্রে অভিযোগকারী একপ্রকার বাধ্য হইয়া একজন লোকের মাধ্যমে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট ২,০০০/— (দুই হাজার) টাকা পাঠায়। টাকা পাঠানোর পর উক্ত ব্যক্তি অভিযোগকারীকে জানায় যে, তিনি নাকি আরো ৮,০০০/ টাকা চায়। অভিযোগকারী কমপক্ষে নগদে ১০,০০০/ (দশ হাজার) টাকা দিতে পারলে সঠিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরণ করিবে, অন্যথায় নহে। অভিযোগকারী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তার চাহিদা মত অবশিষ্ট ৮,০০০/— (আট হাজার) টাকা দিতে পারবেনা বলিলে, তিনি তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের মাধ্যমে অভিযোগকারীকে তাড়িয়ে দেয় এবং বলে যে চাহিদা মত উক্ত ৮,০০০/— টাকা ছাড়া আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা তার পক্ষে অসম্ভব।
উপরোক্ত কারণে অভিযোগকারীর সন্দেহ হয় যে, উপরোক্ত ডায়রীতে বর্ণিত ৪নং বিবাদী রফিকের মাধ্যমে ১—৩নং বিবাদীর সাথে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরস্পর যোগসাজশে মামলায় বর্ণিত অপরাপর আসামীগণের নিকট হইতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে, সংশ্লিষ্ট আদালতে অসত্য প্রতিবেদন দাখিল করিয়া অভিযোগকারীর অপূরণীয় ক্ষতি করিবে। ভবিষ্যতে উপরোক্ত বিবাদীগণ কিংবা তাদের দলীয় অপরাপর লোকের মাধ্যমে উক্তরুপ বেআইনী কার্যাদি সংগঠিত হলে তজ্জন্য উপরোক্ত বিবাদীগনসহ তাদের দলীয় লোকজন দায়ী থাকিবে মর্মে অভিযোগকারী সংশ্লিষ্ট আদালতে উপরোক্ত মতে সংবাদ প্রদান করিতে বাধ্য হয়। বিবাদীগনের উপরোক্ত বেআইনী কাজের বিষয়ে অভিযোগকারীসহ তার ভাই নাজিম উদ্দিন প্রতিবাদ করিলে, বিবাদীগণ নীজেরা কিংবা অন্যের মাধ্যমে অভিযোগকারী কিংবা তার ভাই কিংবা তাদের পরিবার পরিজনের অপূরণীয় ক্ষতি করার হুমকী প্রদান করেন। উপরোক্ত কারণ ও হেতুতে অভিযোগকারীসহ তার ছেলে—মেয়ে ও আত্মীয় স্বজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছে যে, বিবাদীগণ কখন কোন অঘটন ঘটায়।
বিবাদীগন তাদের আত্নীয় স্বজনের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণী পেশায় উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বরত আছেন মর্মে জানায়। তাদের সাথে আরো বিভিন্ন শ্রেণী—পেশার লোকের সহিত ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকতে পারে। তারা উক্ত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে যেকোন সময় যেকোন বেআইনী কার্যাদির মাধ্যমে অভিযোগকারীসহ তার ভাই, ছেলে—মেয়ে ও আত্নীয় স্বজনের অপূরণীয় ক্ষতি করিতে কিংবা করাইতে পারে মর্মে অভিযোগকারী আশংকা প্রকাশ করেন। গত ০৩ সেপ্টেম্বর ২৩ খ্রীঃ অভিযোগকারীর দায়েরকৃত ২৭২/২৩ নং ডায়রীর বিষয়টি সি আর ৫৭/২০২৩ নং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অজয় দেব শীল জানিতে পারিয়া ক্ষুদ্ধ হন এবং উক্ত মামলার ০৬ নং আসামী অর্থ্যাৎ সূত্রোক্ত ডায়রীর ০৩নং বিবাদী মোঃ জাফর আলম প্রকাশ জকুকে ব্যবহার করিয়া অভিযোগকারীসহ তার ভাই নিজাম ও নাজিমকে প্রতিপক্ষ করতঃ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রামে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রীঃ মিচ মামলা নং ৮৪৮/২৩ দায়ের করাইয়া ব্যাপক হয়রানী করিয়া আসিতেছে। আদালতে অভিযোগকারীর ইতিপূর্বে দায়েরকৃত ৫৭/২৩ নং সি আর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত ধার্য্য তারিখ অর্থ্যাৎ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রীঃ তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরণ না করায়, সংশ্লিষ্ট আদালত আগামী ৩১ অক্টোবর ২৩ খ্রীঃ আবারো “প্রতিবেদন প্রাপ্তির জন্য” মামলার ধার্য্য তারিখ নির্ধারণ করেন। উক্ত এস আই অজয় দেব শীলকে তার চাহিদামত টাকা প্রদান না করায়, তিনি যথা সময়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করিয়া, উক্ত মামলার বিবাদীদেরকে অভিযোগকারীর ক্ষতি সাধনের অভিপ্রায়ে বিভিন্ন ভাবে প্ররাচনা দিয়ে আসিতেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ডায়রীর ০৩নং আসামী মোঃ জাফর আলম প্রকাশ জকু মিচ মামলা নং ৮৪৮/২৩ দায়ের করেন মর্মে অভিযোগকারী জানায়।
উল্লেখ্য যে, বি এস খতিয়ান নং ১৫৪০ এর দাগ নং ৬৫৪৬—র সম্পত্তি বাদীর স্বত্বীয় ও দখলীয় সম্পত্তি হয়। জাফর আলম (জকু) মামলা করেন বি এস ৪৭৭৫ নং খতিয়ানের ৬৫৪৭ এবং ৬৫৪৮ নং দাগ নিয়ে। সি আর ৫৭/২৩ মামলাটি বি এস খতিয়ান নং ৭৩ এর দাগ নং ৬৫৫১ এবং ৬৫৫২ কে কেন্দ্র করে দায়ের করা হয়। ০৩টি বিষয় ভিন্ন ভিন্ন। তবু জাফর আলম প্রঃ জকুর মামলায় অভিযোগকারীর স্বত্বীয় ও দখলীয় সম্পত্তি অর্থ্যাৎ বি এস খতিয়ান নং ১৫৪০ এর দাগ নং ৬৫৪৬ উল্লেখ না থাকার পরেও, উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাউজান থানার অপর এস আই মোঃ জসিম উদ্দিন অভিযোগকারীকে জকুর ৮৪৮/২৩ নং মিচ মামলায় নোটিশ প্রদান করতঃ অভিযোগকারীর স্বত্বীয় ও দখলীয় বি এস খতিয়ান নং ১৫৪০ এর দাগ নং ৬৫৪৬—র সম্পত্তিতে উন্নয়ন মূলক কাজ তথা ঘর নির্মাণ করিতে বাধা প্রদান করেন। অথচ উক্ত দাগের বিষয়ে জকুর কোন মামলা কিংবা অভিযোগ কিছুই নাই। তৎবিষয়ে জাফর আলম প্রঃ জকুসহ অভিযোগকারীর স্বাক্ষরিত একখানা আপোষনামাও সম্পাদন হয়, যাহার মুল কপি উক্ত থানার অপর এ এস আই মোঃ আবদুর রাজ্জাকের নিকট রহিয়াছে। উপরোক্ত সি আর ৫৭/২০২৩ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অজয় দেব শীলের চাহিদা মত অভিযোগকারী ঘুষের টাকা দিতে না পারায়, এভাবে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে বিভিন্ন উপায়ে অজয় দেব শীলসহ রাউজান থানায় কর্মরত কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে অভিযোগকারীসহ তার ভাইয়েরা ব্যাপক হয়রানী শিকার হচ্ছে। তৎকারণে অভিযোগকারী তার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাউজান থানার এস আই অজয় দেব শীলসহ তার সহযোগী বিশেষ করে অভিযোগকারীর দায়েরকৃত ২৭২/২৩ নং ডায়রীতে বর্ণিত অপরাপর প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে যথাযত বিভাগীয়/আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগকারী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ আনয়ন করেন মর্মে এ প্রতিবেদককে জানান। অপরদিকে অভিযোগে উল্লেখিত ব্যক্তিগন তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।