আগামী শনিবার সকালে যশোর টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ অন্ধ দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে খেলার আয়োজন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের হত্যাকাণ্ডের সময় অস্ত্র সরবরাহকারী মইন ইকবাল ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড ফজলে রাব্বি মোপাসা। তাদের ১০ লাখ টাকা দিয়ে সরাসরি কলকাঠি নাড়ছেন খুনী-ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর মাহবুবুর রহমান ও তাইজ উদ্দিন।
২৪ এর গনঅভ্যুত্থানে শহীদদের রক্ত শুকানোর আগেই হাসিনার দোসররা এভাবে পুনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা করায় ক্ষোভে ফুঁসছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা। তাদের দাবি, কোনভাবেই পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের প্রকাশ্যে কোন আয়োজন করতে দেয়া হবে না। যেকোন মূল্যে তাদের সকল কর্মকান্ডকে প্রতিহত করা হবে।
এদিকে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মাহবুবুর রহমান ও তাইজ উদ্দিনের ঘনিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। তাদের সাথে শেখ হাসিনার বিভিন্ন ছবি নেট দুনিয়ায় ঘুরছে। হাসিনা পালিয়ে গেলেও বিভিন্নভাবে ভোল পাল্টে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে অস্ত্র ব্যবসায়ী মইন ইকবাল ও ফজলে রাব্বি মোপাসাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট কাউন্সিলের অবৈধ কমিটি গঠন এবং যশোরে খেলার আয়োজনও করতে যাচ্ছে তারা।
পলাতক খুনী হাসিনার দোসররা এখনো এতটাই শক্তিশালী যে বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান ড. হারুনুর রশিদ বাবুকে জিম্মি করে জোরপূর্বক টিপ সই নেয়। এরপর হুমকিও প্রদান করে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা বলছে, এখনো আওয়ামীলীগের দোসররা ঘাপটি মেরে আছে।তারা বিভিন্নভাবে প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করছে। যশোরে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজনের চেষ্টা সেটারই নমুনা। এসময়ে তারা এধরণের আয়োজন করলে শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। তাই ছাত্র-জনতা তাদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত হয়ে আছে। ধানমন্ডি ৩২- এর মতো হাসিনার দোসরদের সকল পরিকল্পনাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হবে। আর তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য যারাই সহযোগিতা করবে তাদের পরিনতিও ভালো হবে না।